আমজাদ হোসেনের জন্য কাঁদছে জামালপুরবাসী
শহীদ মিনারে সর্বস্তরের মানুষের শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে জামালপুরে নিয়ে যাওয়া হবে আমজাদ হোসেনের মৃতদেহ, তবে দাফন হবে বুদ্ধিজীবী কবরস্থানেই
বৃহত্তর ময়মনসিংহের জামালপুর জেলায় জন্মেছিলেন সদ্য প্রয়াত নির্মাতা, অভিনেতা, গীতিকার ও লেখক আমজাদ হোসেন। দীর্ঘদিন ধরে ঢাকায় বাস করলেও জামালপুরের সাথে তার নাড়ির টান। সব সময় সেখানকার মানুষের সাথে ছিলো তার যোগাযোগ। সামর্থ অনুযায়ি বিপদে আপদেও আত্মীয় স্বজনদের পাশে দাঁড়াতেন তিনি। বিণিময়ে জামালপুরের মানুষও তাকে দিয়েছে অকৃত্রিম ভালোবাসা। আর সে কারণেই বোধহয় মৃত্যুর আগে জামালপুরের মাটিতেই নিজের দাফন হোক, এমন অনুরোধ করে গিয়েছিলেন পরিবারকে।
কিন্তু আমজাদ হোসেনের বড় ছেলে সাজ্জাদ হোসেন দোদুল জানালেন অন্য কথা। চ্যানেল আই অনলাইনকে তিনি বলেন, আব্বার মৃত্যুর পর থেকেই উনার জন্মস্থান জামালপুরের মানুষ একের পর এক ফোন দিচ্ছেন। খোঁজ খবর রাখছেন কবে, কখন ব্যাংকক থেকে দেশে নিয়ে আসা হবে। অনেকে আব্বার মৃত্যুতে কাঁদছেন। শেষবারের মতো তাকে দেখার জন্য মুখিয়ে আছেন সবাই।
তাহলে আমজাদ হোসেনের ইচ্ছানুযায়ি জামালপুরেই কি দাফন হচ্ছে? এমন প্রশ্নে দোদুল বলেন, দেখুন, আব্বা চেয়েছিলেন তার দাফন জামালপুরে হোক। আমরাও এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম। কিন্তু আম্মা অনুরোধ করেছেন ঢাকায় যেন আব্বার দাফন হয়। আম্মার ইচ্ছানুযায়ি তাই আব্বাকে ঢাকায় বুদ্ধিজীবী কবরস্থানেই দাফন করা হচ্ছে। তাছাড়া আমরাও ভেবে দেখলাম যেহেতু আব্বা শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসে মারা গেছেন, তাই উনাকে বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে দাফন দেয়াই শ্রেয়।
তবে অপেক্ষারত জামালপুরের মানুষদের কাছেও আমজাদ হোসেনের মৃতদেহ নিয়ে যাওয়া হবে, এমনটা জানিয়ে দোদুল আরো বলেন, যেহেতু জামালপুরবাসীও আব্বাকে শেষ বারের মতো দেখতে চাইছে এবং তারা একবার আব্বার জানাজা পড়তে চাইছে তাই ব্যাংকক থেকে আব্বার মৃতদেহ নিয়ে আসার পর শহীদ মিনারে সব শ্রেণীর মানুষের শ্রদ্ধা নিবেদন ও ঢাকায় জানাজা শেষে জামালপুর নিয়ে যাবো। সেখানে জানাজা শেষ করে আবার ঢাকায় নিয়ে আসবো। দাফন হবে শহীদ বুদ্ধিজীবী কবরস্থানেই।
এদিকে শুক্রবার দুপুরে ব্যাংককের বামরুনগ্রাদ হাসপাতালে মৃত্যু বরণ করলেও নানা জটিলতায় এখনো আমজাদ হোসেনের মৃতদেহ দেশে নিয়ে আসার সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হয়নি। এ বিষয়ে দোদুল বলেন, শুক্র ও শনিবার ব্যাংককে সরকারি ছুটি, রবিবার বাংলাদেশে ছুটি। আর এ কারণে আব্বার মৃতদেহ দেশে আনতে বিলম্ব হচ্ছে। তবে শনিবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নির্দেশ দেয়ার পর এ বিষয়ে দ্রুত কাজ এগুচ্ছে। আশা করা যাচ্ছে কালকে(সোমবার) সকালে আব্বাকে নিয়ে আসার সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হবে।