চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ
Channelionline.nagad-15.03.24

আমজাদ হোসেনকে দেখতে হাসপাতালে ‘তিন কন্যা’

টানা চার দিন ধরে লাইফ সাপোর্টে আছেন ঢাকাই চলচ্চিত্রের দাপুটে নির্মাতা আমজাদ হোসেন। আর এই নির্মাতাকে দেখতে বুধবার বিকালে হাসপাতাল এসে হাজির বাংলা চলচ্চিত্রের ‘তিন কন্যা’ খ্যাত ববিতা, সুচন্দা ও চিত্রনায়িকা চম্পা।

বুধবার বেলা চারটা নাগাদ তারা তিন বোন আমজাদ হোসেনকে দেখতে তেজগাঁয়ের ইমপালস হাসাপাতালে হাজির হন তারা। এসময় তারা দীর্ঘক্ষণ অবস্থান করে আমজাদ হোসেনের খোঁজ খবর নেন। কথা বলেন আমজাদ হোসেনের দুই ছেলের সাথে। এরপর তিন বোনই মুখোমুখি হন গণমাধ্যমের। যেখানে চিত্রনায়িকা ববিতা বলেন, আমি চারমাস পর দেশে এসেছি। এসেই আমজাদ ভাইয়ের এমন পরিস্থিতির কথা জানলাম। আমি প্রস্তুত ছিলাম না এমন খবরের জন্য। যাইহোক, আমজাদ হোসেন বাংলাদেশে একজনই আছেন। তিনি তার সিনেমার মধ্য দিয়ে গ্রাম বাংলাকে চিনিয়েছেন। আমরা দোয়া করবো আল্লাহ তায়ালা যেন তাকে ফিরিয়ে আনেন।

আমজাদ হোসেনকে দেখে সুচন্দা বলেন,আমজাদ ভাই ঠিকমতো মূল্যায়িত হননি। তার কৃতকর্ম যেন কেউ ভুলে না যাই।

অভিনেত্রী চম্পা বলেন, আমার বড় বোনদের সঙ্গে যখন আমজাদ ভাই কাজ করেছেন তখন তিনি আমাকে বলতেন ‘তুমি বড় হও, তোমাকে নিয়েও কাজ করবো’। এরপর আমিও উনার সাথে একটি সিনেমায় কাজ করেছি। ছবির নাম ছিলো ‘গোলাপী এখন ঢাকায়’। এতো বড় মাপের পরিচালকের সাথে কাজের অভিজ্ঞতা আমার পাথেয় হয়ে থাকবে।

আমজাদ হোসেনের মতো নির্মাতা বর্তমান বাংলাদেশের সিনেমায় আরো তৈরি হওয়া উচিত ছিলো বলেও মনে করেন চম্পা।

আমজাদ হোসেনের শারীরিক অবস্থা অপরিবর্তিত। ব্রেন স্ট্রোক করে গত চারদিন ধরে ইনটেনসিভ কেয়ারে লাইফ সাপোর্টে আছেন তিনি। তার বাঁচা মরা নিয়ে সন্দিহান চিকিৎসকরাও। সংবাদ মাধ্যমে আমজাদ হোসেনের সংকটাপন্ন অবস্থার কথা শুনে চিকিৎসার সমস্ত দায়ভার নেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

১৯৭৮ সালে ‘গোলাপী এখন ট্রেনে’ এবং ১৯৮৪ সালে ‘ভাত দে’ চলচ্চিত্র নির্মাণের জন্য জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার অর্জন করেন। এছাড়া নানামাত্রিক কাজের জন্য ১৪ বার জাতীয়ভাবে স্বীকৃতি পেয়েছেন। একইসাথে বাংলা একাডেমী পুরস্কার সহ অসংখ্য পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন।