ধানমন্ডির আবাহনী মাঠে বসেছে বেঙ্গল উচ্চাঙ্গসংগীত উৎসবের ৬ষ্ঠ আয়োজন । ‘সঙ্গীত জাগায় প্রাণ’ এই স্লোগান নিয়ে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় পাঁচ দিনব্যাপী এবারের উৎসবের পর্দা ওঠে। প্রতিবারের মতো ভোর ৫টা পর্যন্ত চলবে সুরের মূর্ছনা। শাস্ত্রীয় সংগীতের মহাযজ্ঞ চলবে ৩০ ডিসেম্বর পর্যন্ত প্রতিদিন সন্ধ্যা থেকে ভোর অবধি।
আবাহনী মাঠ ঘিরে রাখা হয়েছে পুলিশ ও নিরাপত্তাকর্মীদের নিশ্চিদ্র নিরাপত্তায়। নিরাপত্তা বলয় পার হয়ে সন্ধ্যা থেকেই ভিড় জমাতে শুরু করে সঙ্গীতপিপাসুরা। ভারতের সঙ্গীতজ্ঞ ড. এল সুব্রামানিয়াম বেহালায় আভোগী রাগ তুলে সূচনা করেন এবারের উৎসবের সুরেরধারা। সঙ্গে মৃদঙ্গমে ছিলেন রামামূর্তি ধুলিপালা, তবলায় পণ্ডিত তন্ময় বোস এবং মোরসিংয়ে সত্যসাই ঘণ্টাশালা। উদ্বোধনী এই পরিবেশনার পর অর্কেস্টা নিয়ে মঞ্চে আসে আস্তানা সিম্পনি ফিলহারমোনিক। দলটি সিম্পোনিতে মোহিত করে শ্রোতাদের।
রাত ১০টা পর আসরের প্রথম রাতের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন হয়। প্রধান অতিথি হিসেবে উদ্বোধন করেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। তিনি বলেন, ‘অধ্যাপক আবদুর রাজ্জাক আমার গুরু, আমি অধ্যাপক আবদুর রাজ্জাককে স্মরণ করে এই উৎসবের উদ্বোধনী ঘোষণা করলাম।’ বিশেষ অতিথি হিসেবে ছিলেন সংস্কৃতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর, বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতের হাইকমিশনার হর্ষবর্ধন শ্রিংলা, ঢাকা আবাহনীর সভাপতি সালমান এফ রহমান, স্কয়ার গ্রুপের পরিচালক অঞ্জন চৌধুরী এবং ব্র্যাক ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সেলিম আর. এফ. হোসেন। শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন আয়োজক প্রতিষ্ঠান বেঙ্গল ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান আবুল খায়ের লিটু।
এবারের উৎসবটি উৎসর্গ করা হয়েছে খ্যাতিমান শিক্ষাবিদ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইমেরিটাস অধ্যাপক ড. আনিসুজ্জামানকে।
বেঙ্গল ফাউন্ডেশনের আয়োজনে এই উৎসবটি নিবেদন করছে স্কয়ার। সহযোগিতায় ব্র্যাক ব্যাংক। অনুষ্ঠানের প্রচার সহযোগী চ্যানেল আই।
প্রথম দিনের আয়োজনে যাঁরা রয়েছেন:
অর্কেস্ট্রা- ড. এল সুব্রামানিয়াম ও আস্তানা সিম্ফনি ফিলহারমোনিক, সরোদ- রাজরূপা চৌধুরী, খেয়াল- বিদুষী পদ্মা তালওয়ালকর, সেতার- ফিরোজ খান, খেয়াল- সুপ্রিয়া দাস, বেঙ্গল পরম্পরা সংগীতালয়, বাঁশি- রাকেশ চৌরাসিয়া এবং সেতার- পূর্বায়ন চ্যাটার্জি।