চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ
Channelionline.nagad-15.03.24

আবাহনী এভাবেও হারতে পারে!

জাতীয় দলে খেলছেন, খেলেছেন, এমন তারকা ক্রিকেটারে মোড়ানো আবাহনী। অনেকে মজা করে বলেন, দ্বিতীয় জাতীয় দল! বাংলাদেশের ওয়ানডে অধিনায়ক মাশরাফী আছেন দলটিতে। বিজয়, নাসির, শান্ত, মিঠুন, সানজামুলরা আছেন। প্রিমিয়ার লিগে টানা সাত ম্যাচ জিতে একচ্ছত্র আধিপত্য দেখাচ্ছিল দলটি। উড়তে থাকা সেই তারকাসমৃদ্ধ দলই সুপার লিগের আগে পথ হারিয়েছে। এবার হারল ৮ উইকেটে।

আবাহনী হারছে, সেটির চাইতেও বড় প্রশ্ন হয়ে আসছে তাদের হারের ধরন। বুধবার ফতুল্লায় বড়সড় আরেকটি ধাক্কা খেয়েছে গাজী গ্রুপ ক্রিকেটার্সের বিপক্ষে। মাত্র ১১৩ রানে গুটিয়ে গিয়ে ৮ উইকেটে হার। শিরোপা প্রত্যাশী আবাহনী শেষ চার ম্যাচের তিনটিই হারল।

ফিট থাকতে সবার আগে চিনি বাদ দিন, প্রাকৃতিক ও নিরাপদ জিরোক্যাল-এর মিষ্টি স্বাদ নিন।

অনূর্ধ্ব-১৯ দলের পেসার ইয়াসির আরাফাত মিশুর ৮ উইকেট শিকারে ইতিহাস গড়ার দিনে সুপার লিগের পথে এগিয়ে গেছে গাজীও। ৮.১ ওভার বল করে ৪০ রান খরচায় ৮ উইকেট নেন এই তরুণ। তার বিধ্বংসী বোলিংয়ে ২৬.১ ওভারে আবাহনী গুটিয়ে যায় ১১৩ রানে। মানান শর্মা ৪৬ ও মোহাম্মদ মিঠুন করেন ৪০ রান। ওপেনার এনামুল হক বিজয়ে ব্যাটে আসে ১০ রান। তিন অঙ্কের দেখা পাননি আর কোন ব্যাটসম্যান।

সহজ লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ২১ রানে ২ উইকেট হারালেও অধিনায়ক জহুরুল ইসলাম ও ফাওয়াদ আলমের অবিচ্ছিন্ন জুটি ২৯.৫ ওভারে দলকে জয়ের বন্দরে নোঙর করান। জহুরুল ৫২ ও  ফাওয়াদ ৩৯ রানে অপরাজিত থাকেন।

মাশরাফী ও সন্দীপ রায় একটি করে উইকেট নেন।

টানা দুই হার দেখলেও এখনও পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষেই থাকছে আবাহনী। ১০ ম্যাচে সাত জয়ে ১৪ পয়েন্ট মাশরাফী-নাসিরদের। এক ম্যাচ কম খেলে ১২ পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে উঠে এসেছে লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জ।

ইয়াসির এদিন ৮ উইকেট পাওয়ায় লিস্ট ‘এ’ ক্রিকেটের ইতিহাসে ১১তম আর সেরা বোলিংয়ে বিশ্বের অষ্টম স্থানে উঠে এসেছেন। সেরা বোলিং ভারতের রাহুল সাংভীর। দিল্লির হয়ে হিমাচল প্রদেশের বিপক্ষে ১৫ রানে ৮ উইকেট শিকার করেছিলেন ১৯৯৭ সালে। আট উইকেট শিকারি বোলারদের মধ্যে চামিন্দা ভাস, মাইকেল হোল্ডিং, শন টেইটের মতো বিখ্যাত খেলোয়াড় রয়েছেন।

প্রিমিয়ার লিগের দশম রাউন্ডের ম্যাচটিতে বল হাতে ইনিংসের সূচনা করেন ইয়াসির। প্রথম ওভারে দেন ৫ রান। দ্বিতীয় ওভারের প্রথম বলে বাউন্ডারি হাঁকান বিজয়। তখন কে জানত সামনে কত ভয়াবহ পরিস্থিতি অপেক্ষা করছে আবাহনীর জন্য। বিজয় সিঙ্গেল নিয়ে স্ট্রাইক বদলানোর পরই মড়ক লাগে। সাইফ হাসান প্রথম বল মোকাবেলা করতে গিয়ে ক্যাচ তুলে দেন নাঈম হাসানের হাতে।

ইয়াসির আরাফাত মিশু

নাজমুল হোসেন শান্ত নেমে প্রথম বলটি ডট খেলেন। পরের বলে নাঈমের হাতেই ক্যাচ দিয়ে ফেরেন। ওই ওভারে দুই উইকেট নেয়া ইয়াসির আর থামেননি। পরের ওভারে নাসির হোসেন ও মোসাদ্দেক হোসেনকে সাজঘরে পাঠান। নিজের সপ্তম ওভারে নেন তিন উইকেট। আর নবম ওভারে আবাহনীর শেষ ব্যাটসম্যান মানান শর্মাকে সাজঘরে পাঠিয়ে ইতিহাসের অংশ হন।

বাংলাদেশের ঘরোয়া ওয়ানডে লিগে ৮ উইকেট শিকারের দ্বিতীয় ঘটনা ঘটনা এটি। গত বছর প্রথম বিভাগ ক্রিকেট লিগে আট উইকেট শিকার করেছিলেন অনিল বাবু। শের-ই-বাংলা স্টেডিয়ামে ট্যালেন্ট হান্ট ক্রিকেট একাডেমির প্রথম আট ব্যাটসম্যানকে সাজঘরে পাঠান ওল্ড ডিওএইচএসের এই বাঁহাতি পেসার। ৮ উইকেট নিতে টানা ১০ ওভার বোলিং করে ৩০ রান খরচ করেন। আট উইকেটে নেয়া প্রথম বোলার আলাউদ্দিন বাবু।