পুনরায় সাক্ষ্য গ্রহণের আবেদন জানিয়েছেন শিশু সামিউল আলম রাজন হত্যার প্রধান অভিযুক্ত কামরুল ইসলাম। আজ তার পক্ষে আইনজীবী মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারকের কাছে এ আবেদন জানান।
মামলায় সর্বশেষ সাক্ষী, তদন্তকারী কর্মকর্তা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের পরিদর্শক সুরঞ্জিত তালুকদার আজ আদালতে সাক্ষ্য প্রদান করছেন। রোববার বেলা পৌনে ১২টায় সিলেট মহানগর দায়রা জজ আকবর হোসেন মৃধার আদালতে কামরুলের উপস্থিতেই সাক্ষ্য গ্রহণ চলে। সাক্ষ্য গ্রহণের এক পর্যায়ে কামরুল আদালতে আবেদন করেন ৩৫জন সাক্ষীর ফের সাক্ষ্য গ্রহণের জন্য।
রাজন হত্যা মামলার চার্জশিটভুক্ত আসামিরা হলেন, কামরুল ইসলাম, তার ভাই মুহিদ আলম, আলী হায়দার, শামীম আহমদ (পলাতক), তাজ উদ্দিন আহমদ বাদল, ময়না চৌকিদার, রুহুল আমিন, দুলাল আহমদ, নগরীর জালালাবাদ থানার পূর্ব জাঙ্গাইল গ্রামের নিজাম উদ্দিনের ছেলে ভিডিওচিত্র ধারণকারী নুর মিয়া, ফিরোজ মিয়া, আছমত উল্লাহ, জাকির ওরফে পাভেল ওরফে রাজু (পলাতক) ও আয়াজ আলী।
এদিকে, সকাল ৯টায় সিলেট কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে কামরুলসহ অন্য আসামিদের কড়া নিরাপত্তায় আদালতপাড়ায় নিয়ে আসা হয়। তখন বিক্ষুব্ধ জনতার উপস্থিতি লক্ষ্য করা যায় আদালত প্রাঙ্গণে। অনেকে তার ফাঁসি দাবিতে স্লোগানও দেন।
উল্লেখ্য, গত ৮ জুলাই সিলেট নগরীর কুমারগাঁওয়ে শিশু সামিউল আলম রাজনকে কামরুলের নেতৃত্বে পিটিয়ে নৃশংস ভাবে হত্যা করা হয়। ঘটনার পরপরই কামরুল সৌদি আরবে পালিয়ে যায়।
গত ১৫ অক্টোবর বৃহস্পতিবার বিকেল ২ টা ৫৭ মিনিটে বাংলাদেশ বিমানে পুলিশের তিন কর্মকর্তা কামরুলকে নিয়ে সৌদি আরব থেকে হজরত শাহজালার আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ফেরেন। কাস্টমস ও ইমেগ্রেশনের প্রক্রিয়া শেষ করে বিকাল চারটার দিকে কড়া পুলিশি পাহারায় তাকে নিয়ে সিলেট আনা হয়।