শীত বেড়ে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ইউরোপসহ বিশ্বে বিভিন্ন অঞ্চলে আবারও ব্যাপকভাবে বাড়তে শুরু করেছে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ। একই সঙ্গে বাড়ছে মৃত্যুর সংখ্যাও। শেষ ২৪ ঘণ্টায় সারাবিশ্বে ভাইরাসটিতে মারা গেছে ৮ হাজার ১৭০ জন। নতুন শনাক্তের সংখ্যা প্রায় সাড়ে ৬ লাখ।
ওয়ার্ল্ডোমিটারসের তথ্য অনুযায়ী, বৃহস্পতিবার সকাল ১১ টা পর্যন্ত আগের দিনের তুলনায় মৃত্যু এবং শনাক্তের সংখ্যা দুইটাই বেড়েছে। নতুন করে মৃত্যু হয়েছে ৮ হাজার ১৭০ জনের। একদিন আগে এই সংখ্যা ছিল ৮ হাজার ৪০ জন। ফলে বিশ্বে মোট মৃত্যু দাঁড়িয়েছে ৫১ লাখ ৯১ হাজার ৭৭৪ জন।
আক্রান্তের সংখ্যাও বেড়েছে কয়েকগুন। গত ২৪ ঘণ্টায় শনাক্ত হয়েছে ৬ লাখ ২৯ হাজার ৯৪১ জন, সেখানে আগের দিন ছিল ৫ লাখ ৫৫ হাজার ৩৬৬ জন। অর্থাৎ দৈনিক সাড়ে ৭৪ হাজারের বেশি শনাক্ত হয়েছে ভাইরাসটিতে। এতে মহামারির শুরু থেকে এ পর্যন্ত ভাইরাসে আক্রান্ত মোট রোগীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৫ কোটি ৯৬ লাখের বেশি।
পরিসংখ্যান বলছে, ২২ নভেম্বরের পর থেকে যুক্তরাষ্ট্রের করোনা মৃত্যু এবং সংক্রমণ আবারও অনেক বাড়ছে। যেখানে ২২ নভেম্বর মৃত্যু ছিল ৫৫৫ তিন দিনের ব্যবধানে বেড়ে শেষ ২৪ ঘণ্টায় দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ৫৯৩ জন, এবং আক্রান্ত আবারও ১ লাখ ছাড়িয়েছে।
দ্বিতীয় সর্বোচ্চ মৃত্যু রাশিয়ায় ১ হাজার ২৪০ জন এবং আক্রান্ত হয়েছে ৩৩ হাজার ৫৫৮ জন হলেও, জার্মানিতে একদিনেই শনাক্ত ৭৪ হাজার মানুষ। এই সময় দেশটিতে মৃত্যু ৩২১ জন।
ইউরোপের দেশগুলোতে তাকালে দেখা যাবে, ফ্রান্সে মৃত্যু ৮১ হলেও আক্তান্ত হয়েছে প্রায় ৩৩ হাজার। এছাড়াও পোলান্ডে মৃত্যু বেড়ে ৪৬০, ইতালিতে মৃত্যু ৮৫ , আক্রান্ত ১২ হাজার। অন্যদিকে ইউক্রেনে মৃত্যু ৫৯৫, মেক্সিকোতে ৪৬০ জন ও রোমানিয়াতে ১৯৫ জন।
গত ২৪ ঘণ্টায় যুক্তরাজ্যে নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৪৩ হাজার ৬৭৬ জন এবং মারা গেছেন ১৪৯ জন।
আক্রান্তের তালিকায় দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে ভারত। দেশটিতে একদিনে মৃত্যু ৩৯৬ এবং আক্রান্ত ৯ হাজার ১১৯ জন। দেশটিতে এখন পর্যন্ত মোট আক্রান্ত ৩ কোটি ৪৫ লাখ ৪৪ হাজার ৮৪২ জন এবং মারা গেছেন ৪ লাখ ৬৬ হাজার ৯৮০ জন।
২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চীনের উহানে প্রথম করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়। এরপর গত বছরের ১১ মার্চে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) করোনাকে ‘বৈশ্বিক মহামারি’ হিসেবে ঘোষণা করে।