একাদশ জাতীয় নির্বাচনে আবারও ক্ষমতায় আসলে দুর্নীতি এবং ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার দায়ে আদালতের রায়ে দণ্ডপ্রাপ্ত তারেক রহমানকে দেশে ফিরিয়ে এনে সাজা কার্যকর করা হবে বলে সংসদকে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বুধবার দশম জাতীয় সংসদের শেষ অধিবেশনে প্রধানমন্ত্রীর জন্য নির্ধারিত প্রশ্নোত্তর পর্বে অংশ নিয়ে তিনি একথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন: তারেক অপরাধ করেছে, আদালতের রায়ে তার সাজা হয়েছে। তাকে অবশ্যই সাজা ভোগ করতে হবে। আগামীতে যদি আমরা আবারও ক্ষমতায় আসতে পারি তাহলে তারেককে দেশে ফিরিয়ে এনে সাজা কার্যকর করবো।
এসময় তারেক রহমানকে ফিরিয়ে আনতে ব্রিটিশ সরকারের সাথে আলোচনা চলছে বলেও জানান তিনি।
বিগত চার দলীয় জোট সরকারের আমলে আওয়ামী লীগ নেতা কর্মীদের ওপর চালানো অত্যাচার নিপীড়নের চিত্র সংসদের সামনে তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন: বারবার আমার ওপর আঘাত হানা হয়েছে। পদে পদে বাধা দেওয়ার চেষ্টা করা হয়েছে।
শেখ হাসিনা বলেন: ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার মধ্যদিয়ে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বকে চিরতরে শেষ করার চেষ্টা হয়েছিল। তারপর একজন দরিদ্র নিরীহ লোককে (জজ মিয়া) আসামী করে নাটক করা হয়েছিল। কিন্তু আজ জাতির সামনে সত্য বের হয়ে এসেছে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, একুশে আগষ্ট গ্রেনেড হামলার বিচার করা গেছে সেটিই বড় বিষয়। জিয়াউর রহমান ১৫ আগষ্ট বঙ্গবন্ধুর হত্যাকাণ্ডে জড়িত ছিলো আর খালেদা জিয়া আর তারেক রহমান একুশে আগষ্ট গ্রেনেড হামলায় জড়িত ছিলো।
আরেক প্রশ্নের উত্তরে রাজনীতিতে যারা জোট করছেন তাদেরকে স্বাগত জানান। তবে ওই জোটে যারা রয়েছেন তাদের কেউ কেউ মানুষকে সম্মান দিয়ে কথা বলতে পারছে না উল্লেখ করে, তারা আরো সংযত হবেন বলেও প্রত্যাশা রাখেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
রোহিঙ্গা ইস্যুতে প্রধানমন্ত্রী বলেন, তিনি আশা করেন, এ সমস্যার দ্রুত সমাধান হবে এবং তারা মিয়ানমারে ফিরে যাবেন। রোহিঙ্গারা যেন কোনো ধরনের সন্ত্রাসী কর্মকান্ডে জড়াতে না পারে সে দিকে সরকার সতর্ক রয়েছে।