অর্থমন্ত্রী এ এম এ মুহিত বলেছেন, সরকার প্রজাতন্ত্রের কর্মচারিদের বেতন বৃদ্ধির জন্য মুদ্রাস্ফীতির ওপর ভিত্তি করে এক নতুন পদ্ধতি নির্ধারণ করেছে। তবে এটি একটি পরামর্শ, এটি কোনো সিদ্ধান্ত না। যদি মুদ্রাস্ফীতির হার ৪ শতাংশ হয়, তার মানে বেতন বৃদ্ধি হবে না। যখনই মুদ্রাস্ফীতি ৫ শতাংশ ছাড়াবে, তখনই বেতন বৃদ্ধির চিন্তা করা হবে।
রোববার অর্থ মন্ত্রণালয়ে বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ ও পরিকল্পনামন্ত্রী আ হ ম মোস্তফা কামালের সঙ্গে এক বৈঠক শেষে তিনি সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।
অর্থমন্ত্রী বলেন, নতুন পে-স্কেল অনুযায়ী গ্রেড ২০ থেকে গ্রেড ৬ পর্যন্ত ৫ শতাংশ হারে ইনক্রিমেন্ট পাবে। গ্রেড ৫ পাবে বেসিকের সাড়ে ৪ শতাংশ হারে ইনক্রিমেন্ট এবং গ্রেড ৪ পাবে বেসিকের ৪শতাংশ হারে আর গ্রেড ২ পাবে বেসিকের ৩ দশমিক ৭৫ শতাংশ হারে ইনক্রিমেন্ট।
অর্থমন্ত্রী আরো বলেন, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে একটি কমিটি গঠন করা হবে। কিভাবে সরকারি কর্মচারিদের ইনক্রিমেন্ট দেওয়া হবে তা নিয়ে এই কমিটি তিন মাসের মধ্যে একটি প্রতিবেদন জমা দিবে। পরবর্তী জাতীয় নির্বাচনের পূর্বে সেই পদ্ধতি কার্যকর করা হবে বলে তিনি জানান।
গত ২০১৫ সালে সরকার ২০ টি গ্রেড নির্ধারণ করে নতুন পে-স্কেল ঘোষণা করে। পে-স্কেলে সর্বোচ্চ বেতন ধরা হয় গ্রেড-১ এর ৭৮ হাজার টাকা আর সর্বনিম্ন গ্রেডে ৮ হাজার ২ শ ৫০ টাকা।