পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষস্থান নিয়ে বার্সেলোনার সঙ্গে রিয়াল মাদ্রিদের ইঁদুর-বিড়াল দৌড় বেশ জমে উঠেছে। একবার রিয়াল এগিয়ে যাচ্ছে তো পরের ম্যাচে বার্সা জিতলে গোল ব্যবধানে দ্বিতীয় স্থানে নেমে যেতে হচ্ছে তাদের। শনিবার আরও একবার শীর্ষে উঠে গেল জিনেদিন জিদানের দল।
চিরপ্রতিদ্বন্দ্বীদের ঘাম ছুটিয়ে দিয়ে এস্পানিয়লকে ২-০ গোলে হারিয়ে সেরার আসনে গেছে লস ব্লাঙ্কোসরা।
এই জয়ে ১৫ ম্যাচে ৩৪ পয়েন্ট হল রিয়ালের। এক ম্যাচ কম খেলা বার্সেলোনার পয়েন্ট কম তার থেকে তিন। শনিবার রাতেই ম্যাচ আছে মেসিদেরও। রিয়াল মায়োর্কার বিপক্ষে রাত ২টায় শুরু হওয়া ম্যাচে ২-০ গোলে জিতলেই রিয়ালকে হটিয়ে আবারও শীর্ষস্থান ফিরে পাবে কাতালান জায়ান্টরা।
সান্তিয়াগো বার্নাব্যুতে আগের ২২ ম্যাচে মাত্র একটিতে হার দেখা রিয়াল এস্পানিয়লের বিপক্ষে এগিয়ে থাকতে পারতো ম্যাচের ২৭ মিনিটেই। কাউন্টার অ্যাটাকে ক্ষিপ্র গতিতে এস্পানিয়ল ডি-বক্স থেকে নিচু শট নিয়েছিলেন ভিনিসিয়াস জুনিয়র। পা দিয়ে সেই শট ঠেকিয়ে জাল বাঁচান প্রতিপক্ষ গোলরক্ষক।
৩৬ মিনিটে কর্নারের বিনিময়ে রিয়ালকে আরও একবার গোলবঞ্চিত করেন এস্পানিয়ল গোলরক্ষক ডিয়েগো লোপেজ। সেই কর্নারেই কপাল খোলে স্বাগতিকদের। স্পটকিক নিয়েছিলেন করিম বেনজেমা। বল পান তারই ফরাসি সতীর্থ রাফায়েল ভারানে। ডানপ্রান্তের কোণা দিয়ে রিয়াল ডিফেন্ডারের বাঁ-পায়ের শট আর ঠেকানোর সামর্থ্য হয়নি এস্পানিয়ল গোলরক্ষকের।
৫৩ মিনিটে গোলরক্ষককে একা পেয়েও ব্যবধান ২-০ করতে পারেননি বেনজেমা। কাউন্টার অ্যাটাকে ফরাসি ফরোয়ার্ডকে দারুণ এক পাসে বল এগিয়ে দিয়েছিলেন ফেডে ভালভার্দে। শটও নিয়েছিলেন বেনজেমা, কিন্তু তা গিয়ে ঠেকেছে প্রতিপক্ষ গোলরক্ষকের পায়ে।
৭১ মিনিটে আরও একবার সহজ সুযোগ হাতছাড়া বেনজেমার। ভিনিয়াসের পাসে বারের মাঝ বরাবর বল পেয়েছিলেন তবে সেই বল লক্ষ্যহীন ভাবে বাইরে পাঠান ফরাসি ফরোয়ার্ড।
ম্যাচ শেষের ১১ মিনিট আগে নিজের পাপের প্রায়শ্চিত্ত করেছেন বেনজেমা। ৭৯ মিনিটে ফেডে ভালভার্দের চিপে শট নেয়ার জন্য অল্প জায়গা পেয়েছিলেন, প্রতিপক্ষ খেলোয়াড়ের পায়ের নিচ দিয়ে বল জালে পাঠিয়ে চলতি মৌসুমে লা লিগায় নিজের ১১তম গোল পান ৩১ বছর বয়সী তারকা।
৮৩ মিনিটে ফারল্যান্ড মেন্ডি দ্বিতীয় হলুদ কার্ড দেখলে ১০ জনের দলে পরিণত হয় রিয়াল। ১০ জন নিয়ে শেষে আর ব্যবধান বাড়ানো হয়নি জিদানের দলের।