পাকিস্তানের আলোচিত রাজনীতিবিদ ও তারকা ক্রিকেটার তার এক আধ্যাত্মিক পরামর্শককে গোপনে বিয়ে করেছেন বলে গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে। তবে বিয়ের এই অভিযোগ অস্বীকার করে তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) চেয়ারম্যান ইমরান খান বলেছেন, বিয়ে নয় তিনি শুধু বিয়ের প্রস্তাব দিয়েছিলেন।
স্থানীয় গণমাধ্যমের বরাত দিয়ে এনডিটিভি জানিয়েছে, ১ জানুয়ারি লাহোরে ইমরান খান তার আধ্যাত্মিক পরামর্শক মিসেস বুশরা মানেকাকে বিয়ে করেন। বিয়ের পরের দিনই ইমরান খান সেখান থেকে ইসলামাবাদে সন্ত্রাসবিরোধী আদালতে হাজিরা দিতে চান এবং জামিন পান।
প্রতিবেদনে বলা হয়, ৪০ বছর বয়সী মানেকা একজন সরকারি কর্মকর্তাকে বিয়ে করেছিলেন। প্রায় দুই বছর আগে ইমরান খান তার কাছে আধ্যাত্মিকতার পরামর্শ নিতেন। এর সূত্র ধরেই মানেকার সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে ওঠে ইমরানের। অবশেষে তারা বিয়ের বন্ধনে আবদ্ধ হন।
আরও বলা হয়েছে, পিটিআই’র একজন সদস্য মুফতি সাঈদ তাদের বিয়ে পড়িয়েছেন। মুফতি সাঈদ ২০১৫ সালে রেহাম খানের সঙ্গেও ইমরান খানের বিয়ে পড়িয়েছিলেন।
তবে এই অভিযোগ অস্বীকার করে ইমরান খানের মুখপাত্র বিবৃতি দিয়েছেন। বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ইমরান খান মানেকাকে বিয়ের প্রস্তাব দিয়েছেন। মানেকা এ বিষয়ে পরিবার ও সন্তানদের সঙ্গে আলোচনার জন্য সময় চেয়েছেন।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, এই স্পর্শকাতর বিষয়টি গণমাধ্যম অতিরঞ্জিত ভাবে প্রকাশ করেছে, যা দুঃখজনক। জনগুরুত্বপূর্ণ কোন বিষয়ে এভাবে সংবাদ প্রকাশ করা গ্রহণযোগ্য নয়।
এতে আরও বলা হয়েছে, যদি বিয়ের এই প্রস্তাব গ্রহণ করা হয়, তবে ইমরান খান যথাযথ নিয়ম মেনেই তিনি তা প্রকাশ করবেন। গণমাধ্যমের উচিত দুটি পরিবার বিশেষ করে মানেকার সন্তানদের তাদের ব্যক্তিগত বিষয় নিয়ে থাকতে দেয়া।
ইমরান খান প্রখমবার ১৯৯৫ সালে জেমিমা খানকে এবং দ্বিতীয়বার ২০১৫ সালে রেহাম খানকে বিয়ে করেন।