চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ
Channelionline.nagad-15.03.24

আবারও নির্বাচনী উত্তেজনার মুখোমুখি দেশ

৩০ ডিসেম্বর ২০১৮ অনুষ্ঠিত হয়ে গেল একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন। সংসদ নির্বাচনের আয়োজন শেষ হতে না হতেই ঘোষণা আসে দেশজুড়ে অনুষ্ঠিতব্য উপজেলা নির্বাচনের, এরপরে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনে (ডিএনসিসি) মেয়র পদে উপনির্বাচনের খবর। এই দুটি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে নির্বাচন কমিশনের অধীনে। ইসির বাইরে আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ নির্বাচন হতে যাচ্ছে মার্চে ডাকসু নির্বাচন।

২৮ ফেব্রুয়ারি ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনে(ডিএনসিসি) মেয়র পদে উপনির্বাচনের ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। ইতিমধ্যে শুরু হয়েছে প্রার্থীদের মনোনয়ন প্রক্রিয়া। ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনে মেয়র আনিসুল হকের মৃত্যুতে ওই আসনে এ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। ২০১৫ সালের ৬ মে মেয়র হিসেবে শপথ নেওয়ার ৭৮০ দিনের মাথায় মস্তিষ্কের প্রদাহজনিত রোগ ‘সেরিব্রাল ভাস্কুলাইটিস’ এ আক্রান্ত হয়ে লন্ডনে মারা যান আনিসুল হক। মেয়র আনিসুলের মৃত্যুর পর গত বছরের ২৬ ফেব্রুয়ারি ভোটের তারিখ ধরে ঘোষণা করা হয় তফসিল। তবে সিটি করপোরেশনে যুক্ত হওয়া ভাটারা এবং বেরাইদ ইউনিয়নের দুই চেয়ারম্যানের রিট আবেদনে ঝুলে যায় ভোট। সম্প্রতি এই নিষেধাজ্ঞা তুলে দিয়েছেন হাইকোর্ট।

আর আগামী মার্চ মাস থেকে পাঁচ ধাপে দেশজুড়ে উপজেলা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে বলে নির্বাচন কমিশন (ইসি) সূত্রে জানা গেছে। নির্বাচন কমিশনের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, প্রথম ধাপের নির্বাচন হবে আগামী ৮ কিংবা ৯ মার্চ। দ্বিতীয় ধাপ ১৮ মার্চ, তৃতীয় ধাপ ২৪ মার্চ, চতুর্থ ধাপ ৩১ মার্চ এবং পঞ্চম ও শেষ ধাপের নির্বাচন হবে রমজানের পর। বড় বড় রাজনৈতিক দলগুলো তাদের দলীয় প্রতীকে নির্বাচন করার কারণে এই নির্বাচন বেশ গুরুত্ব বহন করে জাতীয় রাজনীতিতে।

ফেব্রুয়ারির বইমেলার আয়োজনের পাশাপাশি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় দেখা যাবে ডাকসু নির্বাচনের প্রচারণা। মার্চের ১১ তারিখে অনুষ্ঠিত হবে দীর্ঘ প্রতীক্ষিত এই নির্বাচন। এই নির্বাচন দিয়ে হয়তো শুরু হবে দীর্ঘ কয়েকযুগ বন্ধ থাকা দেশের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছাত্রসংসদ নির্বাচনও।

তারমানে ফেব্রুয়ারি থেকে মে মাস পর্যন্ত আগামী কয়েকমাস দেশের মূলধারার রাজনীতি ও দেশের শিক্ষাঙ্গণ নির্বাচনী উত্তেজনায় চাঙ্গা থাকবে বলে আমাদের মনে হচ্ছে। ভোট ভিত্তিক গণতন্ত্রের জন্য এটি খুবই ইতিবাচক।

জাতীয় নির্বাচনসহ বিভিন্ন নির্বাচনের আগে পরে ঘটনাবহুল থাকে পুরো দেশ। দেখা যায় নানা পরিকল্পিত ও বিচ্ছিন্ন ঘটনা, সেইসঙ্গে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নানা তৎপরতা ও অতি-তৎপরতাও চোখে পড়ে। গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া বিষয়গুলো বেশ গুরুত্বের দাবিদার বলে আমরা মনে করি। মাঠপর্যায় থেকে শুরু করে শিক্ষাঙ্গনগুলোতো কোনো ধরণের নাশকতা আমরা দেখতে চাই না, সেইসঙ্গে সাধারণ মানুষের মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনাও যেনো না ঘটে সে বিষয়ে সংশ্লিষ্টদের সুনজর প্রত্যাশা করছি।