চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ
Channelionline.nagad-15.03.24

আবারও নায়ক সেই মেসি

মেসি-নেইমারের জাদুতে স্প্যানিশ লা লিগায় টানা তৃতীয় জয় তুলে নিয়েছে বার্সেলোনা। শনিবার রাতে অ্যাথলেটিকো মাদ্রিদকে ২-১ গোলে হারিয়েছে কাতালানরা। নেইমার সমতাসূচক গোল করলেও জয়সূচক গোল করে ম্যাচের নায়ক সেই মেসিই।

রিয়াল মাদ্রিদকে একাধিকবার আটকে দিতে পারলেও এই নিয়ে এক পঞ্জিকাবর্ষে নিজেদের মাঠে বার্সেলোনার কাছে তৃতীয়বার হারলো অ্যাথলেটিকো।

অ্যাথলেটিকোর ঘরের মাঠ ভিসেন্তে কালদেরনে শুরুর একাদশে দলের সেরা খেলোয়াড় মেসি না থাকলেও আক্রমণাত্মক ফুটবল খেলে বার্সেলোনা। পঞ্চদশ মিনিটে প্রথম সুযোগটি তৈরি করে তারাই। আন্দ্রেস ইনিয়েস্তার কাছ থেকে বিপজ্জনক জায়গায় বল পেয়েও স্বাগতিক গোলরক্ষককে ফাঁকি দিতে পারেননি ইভান রাকিটিচ।

২৫ মিনিটে আবার সুযোগ তৈরি করে বার্সেলোনা। রাকিটিচের কর্নারে হাভিয়ের মাসচেরানোর ফ্লিকে বল পান লুইস সুয়ারেস। কিন্তু তার শট বারে লেগে ব্যর্থ হয়ে যায়। ৩৪ মিনিটে নেইমারকে দারুণ একটি সুযোগ তৈরি করে দেন উরুগুয়ের স্ট্রাইকার সুয়ারেস। কিন্তু সেই সুযোগটি হাতছাড়া হয়ে যায়।

দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই অ্যাথলেটিকোকে এগিয়ে নেন ফার্নান্দো তোরেস। ৫২ মিনিটে তিয়াগোর দারুণ এক পাস থেকে গোল করেন সাবেক চেলসি তারকা।

সমতা ফেরাতে বেশিক্ষণ সময় নেয়নি বার্সেলোনা। ৫৫ মিনিটে ফ্রি কিক থেকে আথলেটিকোর জালে বল পাঠিয়ে স্বাগতিক ভক্তদের উচ্ছাস থামিয়ে দেন নেইমার।

৬০ মিনিটে রাকিটিচের বদলে মেসি মাঠে নামলে বার্সেলোনার আক্রমণের ধার আরও বাড়ে। মাঠের নামার সাত মিনিটের মধ্যে এগিয়ে নেওয়ার সুযোগ তৈরি করেন মেসি। তার কাছ থেকে বল পেয়ে নেইমার অ্যাথলেটিকোর গোলরক্ষককে পরাস্ত করেন। কিন্তু গোল লাইন থেকে শেষ মুহূর্তে বল ফিরিয়ে দেন স্বাগতিক ডিফেন্ডার দিয়েগো গোডিন।

৭৭ মিনিটে আর হতাশ হতে হয়নি বার্সেলোনাকে। সুয়ারেসের পাস থেকে জালে বল পাঠিয়ে দলকে প্রথমবারের মতো এগিয়ে নেন মেসি। তার উদযাপনই বুঝিয়ে দিচ্ছিলো দ্বিতীয় ছেলে বেনজামিনকে উৎসর্গ করেছেন এই গোল।

ম্যাচের যোগ করা সময়ে সমতা আনার সুযোগ পায় অ্যাথলেটিকো। কিন্তু প্রতিপক্ষের জালে আর বল পাঠানো হয়নি তাদের।

৩ ম্যাচে ৯ পয়েন্ট নিয়ে আপাতত লা লিগার শীর্ষে উঠে এসেছে লুইস এনরিকের বার্সেলোনা। সমান ম্যাচে দিয়েগো সিমেওনের অ্যাথলেটিকোর পয়েন্ট ৬ নিয়ে আছে পয়েন্ট টেবিলের পাঁচে। আর ৭ পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয়স্থানে আছে রিয়াল মাদ্রিদ।