ওয়ানডে ক্রিকেটে আগে যেখানে সেঞ্চুরি-হাফসেঞ্চুরি করাটাই ছিল বিরাট এক ব্যাপার। কিন্তু মারকাটারি টি-টুয়েন্টির জমানায় এসে প্রায় হরহামেশাই হচ্ছে ডাবল সেঞ্চুরি। সেই পথ ধরে আবারও ডাবল সেঞ্চুরি দেখল ওয়ানডে ক্রিকেট। তবে আন্তর্জাতিক নয়, ঘটনা পাকিস্তানের ন্যাশনাল ওয়ানডে কাপে।
পাকিস্তানের ঘরোয়া ক্রিকেটার আবিদ আলী ডাবল সেঞ্চুরি করার পর অপরাজিত থাকেন ২০৯ রানে। তার ১৫৬ বলের ইনিংস সাজানো ২৪টি চার ও পাঁচ ছক্কায়। ইসলামাবাদের হয়ে পেশোয়ারের বিপক্ষে এই ইনিংস খেলেন আলী। লিস্ট ‘এ’ ক্রিকেটে কোন পাকিস্তানির এটাই সর্বোচ্চ স্কোর।
ডাবল সেঞ্চুরি করে আলী ছাড়িয়ে যান স্পট ফিক্সিংয়ের দায়ে বর্তমানে নিষিদ্ধ স্বদেশি খালিদ লতিফ, মোহাম্মদ আলী ও উইকেটকিপার-ব্যাটসম্যান কামরান আকমলকে।
আগে পাকিস্তানের ঘরোয়া ক্রিকেটে প্রথম ডাবল সেঞ্চুরি করেন মোহাম্মদ আলী। ২০০৫’এ তিনি করেছিলেন ২০৭ রান। ২০০৯’ এ অপরাজিত ২০৪ রান করেন খালিদ লতিফ। আর চলতি বছরের জানুয়ারিতেই ডাবল সেঞ্চুরি করেন আকমল।
আলীর টর্নেডো ইনিংসে ভর করে ইসলামাবাদ করে ৩৭৪ রান। জবাবে ১৪১ রানে অলআউট হয়ে ২৩৩ রানের বিশাল ব্যবধানে ম্যাচ হারে পেশোয়ার।
আন্তর্জাতিক ওয়ানডেতে অবশ্য একাই তিনটি ডাবল সেঞ্চুরি করেছেন ভারতের রোহিত শর্মা। শচীন টেন্ডুলকারের পর ২০১৩ সালে দ্বিতীয় ব্যাটসম্যান হিসেবে ওয়ানডেতে ডাবল সেঞ্চুরি করেন রোহিত। পরের বছর প্রথম ব্যাটসমান হিসাবে দ্বিতীয় ডাবল সেঞ্চুরি করেন। আর গত ডিসেম্বরে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে করেন তৃতীয়টি।
রোহিত-শচীন ছাড়াও ওয়ানডেতে ডাবল সেঞ্চুরি করা অন্য ব্যাটসম্যানরা হলেন- মার্টিন গাপটিল (২৩৭*, নিউজিল্যান্ড), বীরেন্দ্র শেবাগ (২১৯, ভারত) ও ক্রিস গেইল (২১৫, ওয়েস্ট ইন্ডিজ)।