এবার নিজ প্রতিষ্ঠানের শিক্ষিকাকে শ্লীলতাহানীর অভিযোগে আবারও আলোচনায় টাঙ্গাইলের শাহিন শিক্ষা পরিবার। সম্প্রতি শাহিন শিক্ষা পরিবারের বাসাইল শাখা পরিচালক আব্দুর রশিদের বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানীর অভিযোগ আনেন একই প্রতিষ্ঠানের এক শিক্ষিকা।
গত ২৬ এপ্রিল আব্দুর রশিদ ওই শিক্ষিকাকে একাধিকবার ধর্ষণের চেষ্টা করেন বলে অভিযোগ করেছেন ওই শিক্ষিকা। ধর্ষণে ব্যর্থ হয়ে শারিরিক ভাবে নির্যাতনের অভিযোগও করেছেন তিনি।
তবে শাহিন শিক্ষা পরিবার প্রভাবশালী হওয়ায় মামলা দায়ের করতে পারেননি বলেও তিনি অভিযোগ করেন।
এই ঘটনার জেরে শনিবার অভিযুক্ত শিক্ষকের শাস্তি দাবি করে স্কুলের মেইন গেইট অবরোধ করে বিক্ষোভ করে এলাকাবাসী। এসময় বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে স্কুল পক্ষের লোকজনের হাতাহাতি হয়। এতে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়লে পুলিশ এসে পরস্থিতি স্বাভাবিক করে।
ঘটনার বিবরণে ওই শিক্ষিকা বলেন, গত ২৬ এপ্রিল রাতে অভিযুক্ত আব্দুর রশিদ পুলিশে তাড়া দিয়েছে বলে কৌশলে আমার ঘরে ঢুকে। কিছু সময় পর আমার সন্তানেরা ঘুমিয়ে পড়লে তাকে আমি চলে যেতে বলি। এসময় তিনি আমাকে জোর করে শ্লীলতাহানী ও একাধিকবার ধর্ষনের চেষ্টা করে।
‘এতে আমি রাজি না হলে তিনি আমাকে শারিরিকভাবে আঘাত করেন। এসময় আমি চিৎকার দিয়ে লোক ডাকার কথা বললে সে দৌড়ে ঘর থেকে বের হয়ে যায়। যাওয়ার সময় চাকরি থেকে বরখাস্তের হুমকিও দেন তিনি।
পরদিন বিষয়টি স্কুল কর্তৃপক্ষকে জানালে তারা এ ঘটনার বিচার না করে উল্টো আমাকে চাকরি ছেড়ে দিতে নানা ধরনের চাপ প্রয়োগ করতে থাকে।’
পরে স্কুল কর্তৃপক্ষের চাপে গত ১ জুন চাকরি ছাড়তে বাধ্য হন বলেও তিনি অভিযোগ করেন।
এ ঘটনা জানাজানি হলে এলাকার লোকজন উত্তেজিত হয়ে উঠে এবং স্কুলের মেইন গেইট অবরোধ করে বিক্ষোভ করে পরিচালক আব্দুর রশিদকে অপসারনের দাবি করে। এক পর্যায়ে বিক্ষোভকারিদের সঙ্গে স্কুল পক্ষের লোকজনের হাতাহাতির ঘটনা হয় ।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত আব্দুর রশিদ বিষয়টি সাংবাদিকদের নিকট অস্বীকার করলেও টাঙ্গাইলের শাহিন শিক্ষা পরিবারের মুখপাত্র ইমারত হোসেন খান বলেন, আমরা ওই দু’জন শিক্ষককে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নিয়েছি।
বাসাইল উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) নাফিসা আক্তার বলেন, ‘ওই শিক্ষিকা আমার নিকট মৌখিকভাবে অভিযোগ নিয়ে এসেছিল, আমি তাকে লিখিত অভিযোগ করতে বলেছি।’
এক বছর পূর্বে এ স্কুলের একজন পরিচালকের বিরুদ্ধে পরকীয়ার অভিযোগ উঠে এবং শেষ পর্যন্ত তা থানায় গড়িয়েছিল। এছাড়া অল্প কিছুদিন আগে একই প্রতিষ্ঠানের টাঙ্গাইল শাখার আবাসিক শিক্ষকের হাতে ছাত্রদের গরম রডের ছ্যাঁকাসহ মারধর করে গুরুতর আহত করার ঘটনা ঘটে।