আবরার ফাহাদ হত্যা মামলায় এবার বিভিন্ন সময় র্যাগিংয়ে জড়িত থাকায় ২৬ শিক্ষার্থীকে বিভিন্ন মেয়াদে বহিষ্কার করেছে বুয়েট কর্তৃপক্ষ।
বহিষ্কৃত ২৬ জনের মধ্যে ৯ শিক্ষার্থীকে হল থেকে আজীবনের জন্য বহিষ্কার এবং ১৭ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে বহিষ্কার করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার রাতে এই সিদ্ধান্ত জানিয়েছেন ছাত্র কল্যাণ দপ্তরের পরিচালক ও বুয়েট বোর্ড অফ রেসিডেন্স ডিসিপ্লিন কমিটির সদস্য সচিব অধ্যাপক মিজানুর রহমান। একই সাথে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের ক্লাসে ফেরার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।
আবরার হত্যাকাণ্ডের পর থেকে ক্লাস র্বজন করে আসছে বুয়েটের শিক্ষার্থীরা।
গত ৬ অক্টোবর রাতে বুয়েটের শেরে বাংলা হলের আবাসিক ছাত্র ও তড়িৎ কৌশল বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী আবরারকে পিটিয়ে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়। পরে শেরেবাংলা হলের দ্বিতীয় তলা থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়।
পরদিন ৭ অক্টোবর দুপুরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতাল মর্গে আবরারের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়। আবরার বুয়েটের ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন। তিনি শেরেবাংলা হলের ১০১১ নম্বর কক্ষে থাকতেন।
এ ঘটনায় আবরারের বাবা বরকত উল্লাহ বাদী হয়ে চকবাজার থানায় ১৯ জনের বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলা করেন। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত ২১ জনকে গ্রেফতার করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা ও অপরাধ তথ্য বিভাগ।
গত ১৩ নভেম্বর এ ঘটনায় ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতে ২৫ জনকে অভিযুক্ত করে চার্জশিট দাখিল করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের পরিদর্শক ওয়াহিদুজ্জামান।
অভিযুক্ত ২৫ জনের মধ্যে এজাহারে নাম রয়েছে ১৯ জনের। এছাড়া তদন্তে প্রাপ্ত এজাহারের বাইরে ছয়জন। এজাহারভুক্ত ১৯ জনের মধ্যে ১৬ জন ও এজাহারবহির্ভূত ছয়জনের মধ্যে পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গ্রেপ্তারদের মধ্যে আটজন আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।
গ্রেপ্তার ২১ জন হলেন- মেহেদী হাসান রাসেল, মো. অনিক সরকার, ইফতি মোশাররফ সকাল, মো. মেহেদী হাসান রবিন, মো. মেফতাহুল ইসলাম জিওন, মুনতাসির আলম জেমি, খন্দকার তাবাখখারুল ইসলাম তানভির, মো. মুজাহিদুর রহমান, মুহতাসিম ফুয়াদ, মো. মনিরুজ্জামান মনির, মো. আকাশ হোসেন, হোসেন মোহাম্মদ তোহা, মাজেদুর রহমান, শামীম বিল্লাহ, মোয়াজ আবু হুরায়রা, এ এস এম নাজমুস সাদাত, ইসতিয়াক আহম্মেদ মুন্না, অমিত সাহা, মো. মিজানুর রহমান ওরফে মিজান, শামসুল আরেফিন রাফাত ও এস এম মাহমুদ সেতু।
পলাতক আছেন চারজন। এরমধ্যে এজাহারভুক্ত হলেন- মোর্শেদুজ্জামান জিসান, এহতেশামুল রাব্বি তানিম, মোর্শেদ অমত্য ইসলাম ও এজাহারবহির্ভূত মোস্তবা রাফিদ।