বুয়েট শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদ হত্যা মামলায় পলাতক ৪ আসামির নামে পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তির নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। রোববার এই আদেশ দেন আদালত।
পলাতক চারজন হলেন: ইইই ১৬তম ব্যাচের শিক্ষার্থী জিসান, সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং ১৭তম ব্যাচের তানিম, মেকানিক্যাল ১৭তম ব্যাচের মোর্শেদ ও কেমিক্যাল ১৬তম ব্যাচের মুজতবা রাফিদ।
গত বছরের ৬ অক্টোবর আবরার ফাহাদকে সন্ধ্যার পরে বুয়েটের হলের রুম থেকে ডেকে নিয়ে যাওয়া হয় বলে জানান তার সহপাঠীরা। এরপর শেরেবাংলা হলের দ্বিতীয়তলা থেকে ওই শিক্ষার্থীর মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। আবরার ওই হলের আবাসিক শিক্ষার্থী ছিলেন, ১০১১ নম্বর রুমে থাকতেন তিনি।
এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় আবরারের বাবা মো. বরকত উল্লাহ চকবাজার থানায় লিখিত অভিযোগ করলে পরে সেটি হত্যা মামলা হিসেবে গ্রহণ করা হয়।
তদন্তকাজ দ্রুততম সময়ের মধ্যে শেষ করে মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। ঘটনার মাত্র ৫ সপ্তাহের মাথায় হত্যাকাণ্ডে ২৫ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেওয়া হয়।
এজাহারভুক্ত আসামি ১৯ জনের বাইরে ঘটনার তথ্য প্রমাণে আরো ৬ জনের সম্পৃক্ততা পাওয়া গেছে। এজাহারভুক্ত ১৯ জনের মধ্যে ১৬ জন এবং এজাহার বহির্ভুত ৬ জনের মধ্যে ৫ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। অর্থাৎ এ হত্যা মামলায় অভিযুক্ত ২৫ জনের মধ্যে মোট ২১ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে এবং পলাতক রয়েছে ৪ জন।
গ্রেপ্তার ২১ জনের মধ্যে ৮ জন আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে। তাদের জবানবন্দি, স্বাক্ষ্য-প্রমাণ, সিসিটিভি ফুটেজের ভিত্তিতে ঘটনার সঙ্গে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে জড়িত ২৫ জনের নামে চার্জশিট দেওয়া হয়েছে।
চার্জশিটে ৩১ জনকে স্বাক্ষী রাখা হয়েছে। এর মধ্যে শেরেবাংলা হলের ক্যান্টিন বয়, মৃত ঘোষণাকারী চিকিৎসক, সিকিউরিটি গার্ড, আবরারকে হাসপাতালে যারা নিয়ে গেছেন তারা, হল প্রভোষ্ট এবং হলের বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থী অন্যতম।