বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) ছাত্র আবরার ফাহাদকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় এজাহারভুক্ত আসামি মাজেদুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ।
শুক্রবার ভোরে সিলেটের শাহ কিরন এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। মো. মাজেদুল ইসলাম (২১) বুয়েটের ম্যাটারিয়াল অ্যান্ড ম্যাটার্লজিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ১৭তম ব্যাচের শিক্ষার্থী।
ঢাকা মহানগর পুলিশের উপ-কমিশনার (মিডিয়া) মো. মাসুদুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
শুক্রবার ভোর চারটায় গোয়েন্দা-দক্ষিণ বিভাগের ধানমন্ডি জোনাল টিম সিলেটের শাহ কিরন থেকে গ্রেপ্তার করে। মাজেদু্ল শেরেবাংলা হল ছাত্রলীগের একজন কর্মী। আবরার হত্যা মামলার এজাহারে তার নাম রয়েছে ৮ নম্বরে।
এরআগে বৃহস্পতিবার সিলেট থেকে আবরার হত্যার ঘটনায় এজাহারভুক্ত আরও একজনকে গ্রেফতার করেছে ডিএমপি’র গোয়েন্দা ও অপরাধতথ্য বিভাগ। বুয়েট ছাত্রলীগের সাবেক উপ সমাজসেবা সম্পাদক ইফতি মোশাররফ সকালকে গ্রেপ্তার করে ডিবি পুলিশ।
ইফতি বুয়েটের বায়োমেডিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের ১৬তম ব্যাচ ছাত্র। আবরার হত্যাকাণ্ডের মামলায় তিনি তিন নম্বর আসামি।
আবরার হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় মাজেদুল ও সকালসহ এজাহারভুক্ত ১৯ আসামির মধ্যে এখন পর্যন্ত ১৭জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এছাড়া এজাহারে নাম নেই কিন্তু পরোক্ষ সংশ্লিষ্টতার অভিযোগ আরো চারজনকে আটক কর হয়েছে।
মামলার আসামিরা- মেহেদী হাসান রাসেল, (সিই বিভাগ, ১৩তম ব্যাচ), অনিক সরকার (মেকানিক্যাল ইঞ্জনিয়ারিং, ১৫তম ব্যাচ), ইফতি মোশারফ সকাল (বায়োমেডিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং, ১৬তম ব্যাচ), মেহেদী হাসান রবিন (কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ, ১৫তম ব্যাচ), মেফতাহুল ইসলাম জিয়ন (মেরিন ইঞ্জিনিয়ারিং, ১৫তম ব্যাচ), মুনতাসির আল জেমি (এমআই বিভাগ), মো. তাবাখখারুল ইসলাম তানভীর (মেকানিক্যাল , ১৭তম ব্যাচ), মো. মোজাহিদুর রহমান (ইইই বিভাগ, ১৬তম ব্যাচ), মুহতাসিম ফুয়াদ (১৪তম ব্যাচ, সিই বিভাগ), মনিরুজ্জামান মনির (ওয়াটার রিসোর্সেস ইঞ্জিনিয়ারিং, ১৬তম ব্যাচ), মো. আকাশ হোসেন (সিই বিভাগ, ১৬তম ব্যাচ), হোসেন মোহাম্মদ তোহা (এমই বিভাগ, ১৭তম ব্যাচ), মাজেদুল ইসলাম (এমএমই বিভাগ, ১৭তম ব্যাচ), মো. জিসান (ইইই বিভাগ, ১৬তম ব্যাচ), শামীম বিল্লাহ (মেরিন ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ, ১৭তম ব্যাচ), মো. শাদাত (এমই বিভাগ, ১৭তম ব্যাচ), এহতেমামুল রাব্বি তানিম (সিই বিভাগ, ১৭তম ব্যাচ), মো. মোর্শেদ (এমই বিভাগ, ১৭তম ব্যাচ), মো. মোয়াজ (সিএসই, ১৭ ব্যাচ)।
বুয়েটের শেরে বাংলা হলের আবাসিক ছাত্র ও তড়িৎ কৌশল বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী আবরারকে গত রোববার রাতে পিটিয়ে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়। পরে শেরেবাংলা হলের দ্বিতীয় তলা থেকে অচেতন অবস্থায় তার লাশ উদ্ধার করা হয়।
এই ঘটনায় নিহতের বাবা মো. বরকত উল্লাহ চকবাজার থানায় লিখিত অভিযোগ করলে একটি হত্যা মামলা করা হয়।