চট্টগ্রাম থেকে: মোস্তাফিজুর রহমানের কাটারের মুখে পড়বেন অথচ বিভ্রান্ত হবেন না এমন ব্যাটসম্যান খুঁজে পাওয়া কঠিন। স্লগ ওভারের অন্যতম সেরা অস্ত্র ফিজ রাজশাহী কিংসের হয়ে বিপিএলে করছেন দুর্দান্ত। শেষে এসে গড়ে দিচ্ছেন পার্থক্য। ডট বলের ভোজবাজিতে হয়ে উঠছেন নায়ক; তাতে ক্রিজে থাকা ব্যাটসম্যানটি পরিণত হচ্ছেন খলনায়কে।
মিরপুরে রংপুর রাইডার্সের ফরহাদ রেজা ও কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ানসের শহিদ আফ্রিদির নাভিশ্বাস ওঠে মোস্তাফিজের ছোঁড়া বলে ব্যাট ছোঁয়াতে। তাদের অসহায়ত্বের পর ম্যাচ হেরে যায় দল। ভিন্ন ভিন্ন ম্যাচে দলের খুব প্রয়োজনের সময় ফরহাদ ও আফ্রিদি বল মিসের মহড়া দেন ২২ গজে।
শুরুটা ফরহাদকে দিয়ে। শেষ ওভারে দরকার ছিল ৯ রান। মোস্তাফিজের ৫ বল ব্যাটেই লাগাতে পারেননি এ ডানহাতি ব্যাটসম্যান। রাজশাহীর কাছে ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন রংপুর রাইডার্স জয়ের খুব কাছে গিয়ে হারে ৫ রানে।
নিজেকে কাঁধে দোষের বোঝা চেপে ঘুরে বেড়ানো ফরহাদের কষ্ট অবশ্য লাঘব করে দিয়েছেন আফ্রিদি; সপ্তাহখানেক পর যখন ম্যাচের শেষদিকে পাকিস্তানি হার্ডহিটার ব্যাটসম্যানও এক ওভারে মোস্তাফিজের ৪ বল ব্যাটে নিতে পারেননি। তা দেখে কিছুটা স্বস্তি মিলেছে ফরহাদের।
মঙ্গলবার জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে মোস্তাফিজের রাজশাহীর সঙ্গে আবারও মুখোমুখি হয় ফরহাদের রংপুর। সহজেই হারালেও আগের মুখোমুখি দেখায় যে বাজে অভিজ্ঞতা হয়েছিল সেটি নিয়েও জানতে চাওয়া হয় রাজশাহীর এ ক্রিকেটারের কাছে।
‘ওই দিন অনেক কষ্ট গেছে, আমি বল ব্যাটে লাগাতে পারিনি। পরে চার–পাঁচ দিন পর ভালো লেগেছে আফ্রিদিও চার বল ব্যাটে খেলতে পারেনি। তখন মনে হয়েছে আমি ঠিক আছি।’
‘রাজশাহীর বিপক্ষে খেলা আমার জন্য কষ্টের, ওটা আমার হোমটাউন। প্রতিটি ম্যাচই গুরুত্বপূর্ণ, চেষ্টা করি প্রতিটি ম্যাচ ভালো খেলতে। এখনো তৃপ্তি আসেনি। এখনো আরও কিছু ম্যাচ আছে। আরও যেন উন্নতি করতে পারি, সেদিকে তাকিয়ে আছি।’
অলরাউন্ডার ফরহাদ রেজা ব্যাট হাতে একটা ম্যাচে দলকে ডোবানোর পর প্রমাণ করতে সময় নেননি। পুষিয়ে দিয়েছেন সিলেট পর্বে। স্বাগতিক সিলেট সিক্সার্সের বিপক্ষে ৬ বলে ১৮ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলে এনে দেন দারুণ এক জয়।
ফরহাদের মূল কাজ অবশ্য বোলিং। সেটি কেমন করছেন? ১১ ম্যাচে ১৭ উইকেট নিয়ে বিপিএলের চলতি আসরের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ উইকেট শিকারী। মঙ্গলবার কিংসের বিপক্ষে ৩২ বছর বয়সী এ পেসারের শিকার ৩ উইকেট।