মিশরকে টাইব্রেকারে ৪-২ গোলে হারিয়ে প্রথমবারের মতো আফ্রিকান নেশন্স কাপের শিরোপা জিতেছে সেনেগাল।
রোববার পল বিয়া স্টেডিয়ামে হওয়া ফাইনাল ম্যাচের ৭ মিনিটে পেনাল্টি কিক থেকে গোল করতে ব্যর্থ হন লিভারপুল তারকা সাদিও মানে। তবে ভাগ্যবিধাতা তার পায়ের ছোঁয়াতেই যে লিখে রেখেছিলেন সেনেগালের শিরোপা জয়ের চিত্রনাট্য।
আফ্রিকার রেকর্ড সাতবারের চ্যাম্পিয়ন মিশর। তবে জাতীয় দলের জার্সি গায়ে এই ট্রফি এখনো ছুঁতে পারেননি লিভারপুলে মানের সতীর্থ মোহাম্মদ সালাহ। এবার একেবারে কাছে এসেও সালাহর অধরাই হয়ে রইল নেশন্স কাপের ট্রফি।
ডি বক্সের ভেতর মোহাম্মদ আব্দেলমোনেম প্রতিপক্ষের খেলোয়াড়কে ফাউল করলে সেনেগাল পায় পেনাল্টি কিক। সাদিও মানের ডান পায়ের দুরন্ত শট ঠেকিয়ে দেন মিশরের গোলরক্ষক মোহামেদ আবৌগাবাল।
নির্ধারিত সময়ের খেলা মিলিয়ে মিশরীয় গোলরক্ষক আবৌগাবাল পাঁচটি গোল হওয়া থেকে দলকে বাঁচিয়ে দেন। সেনেগাল গোলরক্ষক এডুয়ার্ড মেন্ডি করেন দুটি। স্কোরলাইন গোলশুন্য থাকায় ম্যাচ অতিরিক্ত সময়ে গড়ায়। তাতেও গোল না আসায় টাইব্রেকারেই হয় খেলার ভাগ্য নির্ধারণ।
ম্যাচের শুরুতে প্রতিপক্ষকে পেনাল্টি দেয়ার ভুল করা মিশরের আব্দেলমোনেম পেনাল্টি শ্যুট আউটে করতে পারেননি গোল। বৌনা সারের নেয়া কিক আবৌগাবাল প্রতিহত করে মিশরকে ম্যাচে রেখেছিলেন। তবে মোহানাদ লাসিনের শট ঠেকিয়ে সেনেগালের জয়ের সৌরভ ছড়িয়ে দেন মেন্ডি।
এরপর দৃশ্যপটে সাদিও মানে। তিনি নিলেন দলের পঞ্চম ও শেষ শট। ডান পায়ের শটে বল জালে জড়িয়ে খলনায়ক হতে যাওয়া মানে হয়ে গেলেন নায়ক। ৫৫ বছরের ইতিহাসে প্রথমবার আফ্রিকান নেশন্স কাপের ট্রফি ঘরে তুলে নিল সেনেগাল।