আফগানিস্তান-পাকিস্তান সীমান্তে তুষার ধসে গত ৩ দিনে মৃত্যু হয়েছে প্রায় শতাধিক মানুষের। শুধু আফগানিস্তানেই নিহত হয়েছে একশ’র বেশি মানুষ। আফগান সীমান্তবর্তী নূরিস্তানে নিহত হয়েছেন ৫৪ জন। বাদশাখান প্রদেশে মারা গেছেন ১৮ জন।
গবাধিপশু মারা গেছে কমপক্ষে সাড়ে ৩শ’। প্রায় ২শ’ ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হয়েছে । গত মাসেও তুষাপাত এবং প্রবল ঠান্ডা আবহাওয়ায় পাঁচ বছরের কম বয়সী ২৭টি শিশুর মৃত্যু হয়।
উত্তর পাকিস্তানে মারা গেছে ১৪ জন। কেবল চিত্রলেই তুষার ধসে নিহত হয়েছে ৯ জন। একই সময়ে আহত হয়েছে প্রায় অর্ধ শতাধিক মানুষ। আহতের চিত্রলের স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
হতাহতদের মধ্যে নারী ও শিশু রয়েছে। প্রবল তুষার ধসের ২৫টি বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তার মধ্যে পাঁচটি বাড়ি সম্পূর্ণ ধ্বংস হয়ে গেছে।
পাক আইএসপিআর জানিয়েছে, দুর্ঘটনা প্রবণ এলাকায় উদ্ধার কাজ চালাচ্ছে সেনাবাহিনী। সেখানে উদ্ধার কাজে হেলিকপ্টার মোতায়েনের কথাও জানানো হয়েছে। তবে তুষারপাত অব্যাহত থাকায় আরও দুর্ঘটনার আশংকা করছেন উদ্ধার কর্মীরা।
আফগান-পাকিস্তান সীমান্ত এলাকায় হঠাৎ করেই বেড়েছে তুষাপাত। কাবুল-কান্দাহার হাইওয়ে থেকে পুলিশ উদ্ধার করেছে আটকে পড়া আড়াইশ যানবাহন। উত্তর কাবুলের সালাং পাসে আড়াই মিটার বরফের নিচে চাপা পড়ে মারা গেছে ২ গাড়ি চালক।