আগস্টে মার্কিন সৈন্যরা আফগানিস্তান ত্যাগ এবং তালেবান কর্তৃক ক্ষমতা দখলের পর দুই দেশের মধ্যে প্রথম সরাসরি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে।
রোববার কাতারের রাজধানী দোহায় অনুষ্ঠিত বৈঠক আন্তরিক ও পেশাদারি ছিলো বলে মন্তব্য করেছে যুক্তরাষ্ট্র। সেই সঙ্গে তালেবানকে স্বীকৃতি না দিলেও আফগান জনগণের মানবিক দিক বিবেচনা করে ত্রাণ সহায়তা দিতে রাজি হয়েছে বাইডেন প্রশাসন।
এই সহায়তা তালেবানকে কোনো প্রকার স্বীকৃতি নয় জানিয়ে যুক্তরাষ্ট্র বলছে, তালেবানের কথার সঙ্গে আচরণ ও কর্মকাণ্ড পযালোচনা করবে যুক্তরাষ্ট্র সরকার।
মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্রের বরাত দিয়ে রয়টার্স বলছে, বৈঠকে ত্রাণ সহায়তা ছাড়াও নিরাপত্তা ও সন্ত্রাসবাদ সংক্রান্ত উদ্বেগ, চরমপন্থী গোষ্ঠীগুলোকে নিয়ন্ত্রণে আনা, মানবিক অধিকার নিশ্চিতরণ, আফগান সমাজের সকল ক্ষেত্রে নারীদের অংশগ্রহণ নিশ্চিতকরণ, আফগানিস্তান থেকে মার্কিন নাগরিকসহ বিদেশিদের করে নিয়ে যাওয়াসহ নানা বিষয়ে দুই পক্ষের মধ্যে সহজাত আলোচনা হয়েছে।
অপরদিকে তালেবানের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, মানবিক সহায়তা যাদের প্রাপ্য তাদের কাছে স্বচ্ছতার সাথে পৌঁছে দেয়ার কাজে দাতব্য সংগঠনগুলোর সাথে তারা সহযোগিতা করবে। এ ছাড়াও তালেবান বিদেশি নাগরিকদের চলাচলের সুবিধা নিশ্চিত করবে।
তালেবানের পক্ষ থেকে আরও জানানো হয়, বৈঠকে অনেকগুলো সমসাময়িক ইস্যু নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে। এই আলোচনা দুই দেশের মধ্যকার কূটনীতিক সম্পর্ক স্থাপনে ভূমিকা রাখবে।সংকট সমাধানে প্রয়োজনে দুই দেশের মধ্যকার আলোচনা আরও হবে।
আফগান পররাষ্ট্রমন্ত্রী আমির খান মুক্তাকি বলেছেন, ‘ওয়াশিংটনের পক্ষ থেকে আফগান জনগণকে করোনাভাইরাস ভ্যাকসিন প্রদান করার কথা জানিয়েছে। এই আলোচনা দুই দেশের সম্পর্কে নতুন এক অধ্যায়ের সূচনা করবে’।
গত আগস্টে ২০ বছর পর আফগানিস্তানের ক্ষমতা দখল করে তালেবান। এরপর থেকে তারা একের পর উগ্রপন্থী সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে চলেছে। এরই মধ্যে দুই দেশের বৈঠক অনুষ্ঠিত হলো। তবে যুক্তরাষ্ট্র এই বৈঠককে তালেবান সরকারকেকোনো প্রকার বৈধতা প্রদান নয় বলে নিশ্চিত করেছে।