আফগানিস্তানে সরকারি সেনাদের হাত থেকে দেশটির দক্ষিণ ও পশ্চিমের তিন শহর দখল করতে চাওয়ায় তালেবানদের সাথে যুদ্ধ বাড়ছে।
তালেবান সৈন্যরা হেরাত, লস্কর গাহ এবং কান্দাহারে প্রবেশ করেছে।
সেপ্টেম্বরের মধ্যে প্রায় সব বিদেশি সেনা চলে যাওয়ার ঘোষণা দেওয়ার পর থেকে তালেবানরা গ্রামাঞ্চলগুলোতে দ্রুত দ্রখল নেয়।
সেখানে মানবিক সংকট এবং সরকারী বাহিনী কতক্ষণ এসব এলাকার নিয়ন্ত্রণ ধরে রাখতে সক্ষম হবে সেই আশঙ্কার মধ্যেই এই গুরুত্বপূর্ণ শহরগুলির ভাগ্য ঝুঁকিতে পড়েছে।
মৌলবাদী ইসলামপন্থী মিলিশিয়ারা ইতিমধ্যেই ইরান ও পাকিস্তানের লাভজনক সীমান্ত অতিক্রম করে আফগানিস্তানের সমস্ত ভূখণ্ডের অর্ধেক পর্যন্ত দখল করে নিয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
লস্কর গাহতে শনিবার বিদ্রোহীরা গভর্নর কার্যালয় থেকে মাত্র কয়েকশ মিটার দূরে ছিল, রাতের দিকে তাদের পেছানো হয়।
এত দিনের মধ্যে এটি তাদের দ্বিতীয় প্রচেষ্টা। আফগান বাহিনীর কমান্ডার জানান, শুক্রবার তারা জঙ্গিদের দ্বারা উল্লেখযোগ্য হতাহতের শিকার হয়েছে।
কান্দাহারের এক এমপি জানান, শহরটি পতনের গুরুতর ঝুঁকির মধ্যে আছে। এরই মধ্যে প্রায় লাখখানেক মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছেন। আরও একটি মানবিক সংকট আসন্ন বলে মনে হচ্ছে।
গুল আহমেদ কামিন বলেন, প্রতি ঘণ্টায় পরিস্থিতি খারাপ হচ্ছে। গত ২০ বছরের মধ্যে এটি শহরে সবচেয়ে ভয়াবহ যুদ্ধ।
তিনি বলেন, তালেবানরা কান্দাহারকে তাদের বড় কেন্দ্রবিন্দু হিসেবে দেখছে। এই শহরটিকে তারা তাদের অস্থায়ী রাজধানী করতে চায়। যদি এই শহর ব্যর্থ হয়, তাহলে এই এলাকায় আরও পাঁচ বা ছয়টি প্রদেশ হারিয়ে যাবে।
অর্থনৈতিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ শহর হেরাতের পাঁচটি পৃথক অংশে দুই পক্ষের মধ্যে লড়াই চলার খবর পাওয়া গেছে।
আফগানিস্তানের সরকারি বাহিনীর সমর্থনে যুক্তরাষ্ট্র এখনও বিমান হামলা চালিয়ে যাচ্ছে। এই বিমান হামলার সমর্থন নিয়ে সরকারি বাহিনী শহরটির বিমানবন্দরের আশপাশের এলাকাটি আবার নিজেদের নিয়ন্ত্রণে নিয়েছে।