আফগানিস্তানে ঘটতে থাকা বর্তমান পরিস্থিতির জন্য আফগানিদের দায়ী করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। বাইডেনের বক্তব্য, নিজেদের জন্য লড়াই করছে না আফগান বাহিনী। সেখানে মার্কিন সেনারা কেন লড়াই করে জীবন বিসর্জন দেবেন? আফগানিস্তান ইস্যুতে সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ঘাড়ে মার্কিন সেনা প্রত্যাহারের দায়ও দিয়েছেন তিনি।
সোমবার জাতির উদ্দেশে দেয়া ভাষণে মার্কিন প্রেসিডেন্ট এসব বলেন।
মার্কিন প্রেসিডেন্টের দাবি, আফগানিস্তানে দেশ গঠনের কোনও লক্ষ্যই ছিল না আমেরিকার। আফগানিস্তানের মাটি ব্যবহার করে আমেরিকায় জঙ্গি হামলা যাতে না হয়, সেই লক্ষ্য ছিল এবং তা সফল হয়েছে।
তালেবানদেরকে সতর্ক করে দেওয়া হয়েছে জানিয়ে বাইডেন বলেন, ‘তালেবানদেরকে বলে দেওয়া হয়েছে, যদি আমাদের মানুষের উপর হামলা চালানো হয়, আমাদের অভিযানে বাধা দেওয়া হয়, তাহলে দ্রুত উত্তর দেওয়া হবে। সেই প্রত্যুত্তর হবে ভয়ঙ্কর। তারপরই মার্কিন সেনা প্রত্যাহারের প্রক্রিয়া শেষ হবে।’
অতীতের ভুল আর করবেন না জানিয়ে জো বাইডেন বলেন, ‘আমেরিকার আর কত প্রজন্মের ছেলে-মেয়েরা আফগানিস্তানের গৃহযুদ্ধের শিকার হবেন? কত আমেরিকানের প্রাণ যাবে? আমি অতীতের ভুল করব না।’
মার্কিন সেনা প্রত্যাহারের দায় ট্রাম্পকে দিয়ে বাইডেন বলেন, ‘ট্রাম্পের আমলে তালেবানদের সঙ্গে চুক্তি হয়েছিল। যা তিনি ক্ষমতায় বসার তিন মাসের মধ্যে করেছিল।’
আফগানিস্তানে বর্তমান পরিস্থিতি নজর রাখছেন জানিয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘ক্রমশ পরিস্থিতির অবনতি হতে থাকা আফগানিস্তানের দিকে নজর রাখছি আমি। নজর রাখছে আমার নিরাপত্তা পরিষদও। আমি ২০ বছর আগে আফগানিস্তানে গিয়েছিলাম। আমাদের অভিযান সফল হয়েছে। আল-কায়দাসহ নানা জঙ্গিদের দুর্বল করে দেওয়া হয়েছে। আফগানিস্তানে আমাদের অভিযানের একটাই লক্ষ্য, আমেরিকায় জঙ্গি হামলার জন্য যাতে আফগানের মাটিকে ব্যবহার করা না হয়।’
২০ বছর পর আফগানিস্তান থেকে যুক্তরাষ্ট্রসহ বিদেশি সেনা প্রত্যাহারের ঘোষণার সাথে সাথেই সেখানে অস্থিরতা তৈরি হয়। রোববার পুরোপুরি দেশটির নিয়ন্ত্রণ নেয় তালেবানরা। সবার আশঙ্কা, ২০০১ সালে তালেবান ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর থেকে আফগানিস্তানে যেসব মানবাধিকার অর্জন করা গিয়েছিল এখন তা আবার হারিয়ে যাবে।