আফগানিস্তানের পঞ্জশির উপত্যকায় সেখানকার প্রতিরোধ যোদ্ধাদের সাথে তালেবানের লড়াই তীব্র থেকে তীব্রতর হচ্ছে।
বিবিসি বলছে, গত কয়েকদিন ধরে চলা লড়াইয়ে উভয়পক্ষই একে অপরের যোদ্ধাদের হতাহতের দাবি জানিয়েছে। বৃহস্পতিবার লড়াই ছিলো বেশি তীব্র।
তালেবান বলছে যে, তারা কিছু অঞ্চল দখল করেছে এবং জাতীয় প্রতিরোধ ফ্রন্টের বেশ ক্ষতি সাধন করেছে। কিন্তু প্রতিরোধ ফ্রন্ট বলছে, উপত্যকার সমস্ত প্রবেশপথের নিয়ন্ত্রণ তাদের হাতে আছে এবং তালেবান শত শত যোদ্ধা হারিয়েছে।
গত ১৫ আগস্ট তালেবানের হাতে রাজধানী কাবুলের পতনের পর তাদের শাসনের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়িয়েছে দেশটির একমাত্র প্রদেশ পর্বতময় পঞ্জশির। প্রদেশটি এখনও নিজেদের নিয়ন্ত্রণে নিতে পারেনি তালেবান গোষ্ঠী।
মূলত কাবুল তালেবানের নিয়ন্ত্রণে চলে যাওয়ার পর আফগান সেনাবাহিনীর একটি অংশ ও স্পেশাল ফোর্সেসের ইউনিটগুলো এই প্রদেশে স্থানীয় মিলিশিয়া বাহিনীর কয়েক হাজার যোদ্ধার সঙ্গে যোগ দেয়। সেখানে তারা এক সাবেক মুজাহিদ কমান্ডারের ছেলে আহমাদ মাসুদের নেতৃত্বে প্রতিরোধ গড়ে তোলে।
তাদেরকে বিদ্রোহী উল্লেখ করে আত্মসমর্পণের আহ্বান জানিয়েছে তালেবান। তবে বিদ্রোহীরা আফগানিস্তানে একটি বিকেন্দ্রিক সরকারের দাবি করেছে।
এদিকে তালেবানের সাথে সরাসরি যোগাযোগ স্থাপনের কথা জানিয়েছে যুক্তরাজ্য।
ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডমিনিক রাব বলেছেন, তালেবানকে খুব শিগগিরই স্বীকৃতি দেওয়ার পরিকল্পনা নেই, তবে সংলাপের প্রয়োজন অবশ্যই রয়েছে।
আজই তালেবানের নতুন সরকার গঠন হতে পারে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এক তালেবান কর্মকর্তা জানিয়েছেন, কাবুলের প্রেসিডেন্সিয়াল প্যালেসে অনুষ্ঠানের প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। তালেবানের সর্বোচ্চ নেতা হাইবাতুল্লা আকুন্দজাদা’র সরকার প্রধানের দায়িত্বে থাকা অনেকটাই নিশ্চিত। তার অধীনে একজন প্রেসিডেন্ট নিয়োগ পেতে পারেন।