উত্তেজনায় ঠাসা ম্যাচে শেষ পর্যন্ত স্নায়ুর চাপ ধরে রাখে ইংলিশ যুবারা। তাতেই দীর্ঘ ২৪ বছর পর অনূর্ধ্ব-১৯ ক্রিকেট বিশ্বকাপের ফাইনালে উঠেছে ইংল্যান্ড।
মঙ্গলবার অ্যান্টিগার স্যার ভিভ রিচার্ডস স্টেডিয়ামে হওয়া বৃষ্টিবিঘ্নিত ৪৭ ওভারে নেমে আসা ম্যাচে আফগানিস্তানকে ১৫ রানে হারায় ইংল্যান্ড।
টসে জিতে আগে ব্যাট করা ইংলিশরা ৬ উইকেটে ২৩১ রান করে। জবাবে বৃষ্টি আইনে ২৩১ রানের লক্ষ্যে নামা আফগানিস্তান ৯ উইকেটে ২১৫ রানে থেমে যায়।
আফগান বোলাররা প্রতিপক্ষকে যেভাবে চেপে ধরেছিল তাতে করে টুর্নামেন্টে প্রথমবারের মতো ফাইনালে খেলার দিকে তারা ভালোই যাচ্ছিল। ১৩৬ রানেই ৬ ব্যাটারকে হারিয়ে বসে ইংল্যান্ড। ওপেনার জর্জ থমাস ৬৯ বলে ৫০ রান করলেও টপ অর্ডারের বাকিরা ব্যর্থ হয়।
পরে অবশ্য বোলাররা ধরে রাখতে পারেনি চাপ। সপ্তম উইকেটে জুটিতে জর্জ বেল ও অ্যালেক্স হর্টন শেষ ১২ ওভারে ৯৫ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটি গড়েন। বেল ৫৬ ও হর্টন ৫৩ রানে অপরাজিত থাকেন।
আফগান বোলার নাভিন জাদরান ও নূর আহমেদ নেন দুটি উইকেট। একটি করে উইকেট পান নাভিদ ও কাহরোটে।
বৃষ্টি আইনে ২৩১ রানের লক্ষ্যে নামা আফগানিস্তান শুরুতে এক রানের মাথায় ওপেনার কাহরোটের উইকেট হারায়। দ্বিতীয় উইকেটে মোহাম্মদ ইসহাক ও আল্লাহ নূর ৯৩ রানের জুটি গড়েন। ৪৩ রানে ইসহাকের রান আউটে ভাঙে জুটি।
এরপর আকস্মিক ব্যাটিং ধস। ১ উইকেটে ৯৪ থেকে তা হয়ে যায় ৪ উইকেটে ১০৬ রান। আল্লাহ নূর ৮৭ বলে ৬০ রান করে চতুর্থ ব্যাটার হিসেবে প্যাভিলিয়নে গেলে আফগানরা বিপদে পড়ে।
পঞ্চম উইকেটে ৫০ রানের জুটি গড়ে আফগানিস্তানকে আবারো ম্যাচে ফেরানোর চেষ্টা করেন আব্দুল হাদি ও বিলাল আহমেদ। ৩৩ রান করা বিলাল আউট হলে ইংল্যান্ড ডেরায় জমা মেঘ খানিকটা কেটে যায়। খানিক পর ইজাজের উইকেট হারিয়ে আফগানরা খেই হারিয়ে বসে।
সপ্তম উইকেটে আবারো প্রতিরোধ। এবার নূর আহমেদকে নিয়ে ৫০ রানের জুটি গড়ে দলকে জয়ের কাছেই নিয়েছিলেন হাদি।
ম্যাচের ৪৬ নম্বর ওভারে যখন লেগ স্পিনার রেহান আহমেদ বল করতে আসেন তখন আফগানদের জয়ের জন্য প্রয়োজন ছিল দুই ওভারে ১৯, হাতে ছিল চার উইকেট।
রেহান মাত্র এক রান দিয়ে নুর, ইজহারউল হক নাভিদ এবং বিলাল সামির উইকেট নিয়ে দলের জয়ে বড় ভূমিকা রাখেন।
শেষ ওভারে জয়ের জন্য দরকার ছিল ১৮ রান, হাতে ছিল এক উইকেট। আফগানিস্তান দুই রানের বেশি তুলতে পারেনি। ফলে ফাইনালে ওঠার আনন্দ নিয়ে ইংল্যান্ড মাঠ ছাড়ে।