চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ
Channelionline.nagad-15.03.24

আফগানদের নাচাচ্ছেন সাকিব

মন্থর উইকেটে ২৬৩ রানের লক্ষ্য দেয়া গেছে। ঝটপট উইকেট তুলে নেয়া দরকার। কিন্তু উইকেট আসছিল না। অধিনায়কের ডাক পড়ল। হতাশ করলেন না সাকিব। ব্রেক থ্রু এনে দিলেন। মোসাদ্দেক আরেক উইকেট এনে স্বস্তি দ্বিগুণ করলেন। কিছুপর আবারও উইকেটে জমে গেলেন আফগানিস্তানের পরের দুই ব্যাটসম্যান। এবার?

যা করতে হত সেটাই করেছে বাংলাদেশ। আফগানদের রান তুলতে না দিয়ে গলায় ফাঁস পড়িয়েছে! পরের কাজ সেই ফাঁস কাজে লাগিয়ে উইকেট তোলা। তাতে আবারও ত্রাতা সাকিব। সুযোগটা কাজে লাগিয়ে ম্যাচের মোড়ই ঘুরিয়ে দিয়েছেন ব্যাটে-বলে দারুণ সময় কাটাতে থাকা টাইগার অলরাউন্ডার। ঝটপট ৩ উইকেট তুলে নিয়েছেন।

ফিট থাকতে সবার আগে চিনি বাদ দিন, প্রাকৃতিক ও নিরাপদ জিরোক্যাল-এর মিষ্টি স্বাদ নিন।

আফগানিস্তান-১২৫/৫ (৩৪)

টাইগাররা স্পিনাররা আক্রমণে আসার পর রানের গতি কমেছে তো কমেছেই। ২৬তম ওভারে যেয়ে দলীয় শতক ছুঁতে পেরেছে আফগানরা। রানের গতি মন্থর করে আনার জন্য আক্রমণাত্মক ফিল্ডং দরকার ছিল। টেস্ট ক্রিকেটের আদলে ব্যাটসম্যানের চারপাশে ছাতার মতো ফিল্ডার দাঁড় করিয়ে সাকিবকে আক্রমণে আনেন মাশরাফী।

সাফল্য আসতে দেরি হয়নি। ৪৭ রান করে ফেলা গুলবাদিন নায়েবকে লিটনের ক্যাচ বানিয়ে দলের তৃতীয় সাফল্য আনেন সাকিব। সেটি ২৯তম ওভারের প্রথম বলের কথা। ওই ওভারের তৃতীয় বলে আবারও সাফল্য। এবার অভিজ্ঞ মোহাম্মদ নবিকে সাজঘরের পথ দেখান সাকিব, রানের খাতা খোলার আগেই আফগান তারকাকে করেন এলবিডব্লিউ।

কিছুপর আসগর আফগানকে ক্যাচ বানান বদলি ফিল্ডার সাব্বিরের। তাতে ৭ ওভারে ১ মেডেনে ১০ রানে ৪ উইকেট সাকিবের নামের পাশে।

আগে লক্ষ্যে জবাব দিতে নেমে শুরুটা ভালোই করেছিল আফগানিস্তান। দুই ওপেনার গুলবাদিন ও রহমত শাহ ১০ ওভারে ৪৮ তুলে ফেলেন। তাদের ৪৯ রানের জুটি ভেঙে দেন সাকিব। বাঁহাতি স্পিনার নিজের করা প্রথম ওভারেই সাফল্য এনে দেন। রহমত শাহকে তামিমের ক্যাচ বানিয়ে।

পরে হাসমতউল্লাহ শাহিদিকে স্টাম্পিংয়ে ফিরিয়ে দ্বিতীয় সাফল্য আনেন মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত।

বল হাতে ইতিমধ্যেই চার উইকেট নিয়েছেন, তার আগে ব্যাট হাতেও রান পেয়েছেন সাকিব। টুর্নামেন্টে পঞ্চমবারের মতো ৫০’র বেশি রানের ইনিংস খেলেছেন। তার পাশাপাশি মুশফিকুর রহিমের ৮৩ ও মোসাদ্দেক হোসেনের ৩৫ রানে ভর করে ৭ উইকেটে ২৬২ রানের পুঁজি গড়ে বাংলাদেশ।