এহসান আব্দুল্লাহ ও তাসমিয়া হাসান দম্পতির মধ্যে মনমালিন্য চলছিল দীর্ঘ দিন। এর জের ধরেই তাসমিয়া হাসান চলে যান মায়ের বাড়ি। সঙ্গে নিয়ে যান গত ২৮ ফেব্রুয়ারি জন্মগ্রহণ করা ছোট্ট ছেলে ইয়াসিন আব্দুল্লাহকে। গত ২৬ সেপ্টেম্বর টিকা দেয়ার জন্য ছেলেকে নিয়ে গুলশান ল্যাবএইড হাসপাতলে যান তাসমিয়া। সেখানে ছেলেকে দেখতে আসেন বাবা এহসান আব্দুল্লাহ ও তার মা।
এক পর্যায়ে ইয়াসিনকে আদর করার কথা বলে তার মা’র কাছ থেকে লুকিয়ে নিজ বাসায় নিয়ে যান বাবা ও দাদি। এরপর মা তাসমিয়া থানায় জিডি করেন। তিনি প্রতিকারের জন্য মহিলা পরিষদে যান। কোন উপায় না পেয়ে অবশেষে নিজ সন্তানকে ফিরে পেতে ২২ অক্টোবরে রিট করেন হাইকোর্টে।
২৩ অক্টোবর হাইকোর্ট রুল জারি করেন, কেন ইয়াসিনকে তার মায়ের কাছে ফেরত দেয়া হবে না? রিটে ইয়াসিনকে যেন বুকের দুধ খাওয়াতে পারেন সেই আবেদন জানিয়ে আরো একটি আবেদন যুক্ত করা হয়। কিন্তু মায়ের আবেদন খারিজ করেন হাইকোর্ট।
এরপর সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে আসেন মা তাসমিয়া। সে আবেদনের উপর শুনানি হয় রোববার। একপর্যায়ে সুপ্রিম কোর্টের পাঁচ বিচারপতির আপিল বেঞ্চ খাস কামরায় মায়ের কথা শোনেন।
পরে আদলতের আদেশে এহসান আব্দুল্লাহ ৭ মাসের ইয়াসিনকে রোববার বিকেল ৫ টায় মায়ের কোলে ফিরিয়ে দেন। হাইকোর্ট এই মামলার রুল নিস্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত মায়ের কাছেই ইয়াসিনকে রাখার নির্দেশ দেন। তবে বাবা চাইলে এই সময়ে ইয়াসিনকে দেখতে যেতে পারবেন বলে জানান মামলা সংশ্লিষ্ট আইনজীবী।
আদালতে ইয়াসিনের মায়ের আবেদনের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী কামরুল হক সিদ্দীকি, মোহাম্মাদ আলি আজম ও আইনুন নাহার সিদ্দিকা। আর ছেলের বাবার পক্ষে ছিলেন আইনজীবী আব্দুল বাসেত মজুমদার।