চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ
Channelionline.nagad-15.03.24

আপাতত বিএসএমএমইউ’তে চিকিৎসা চলবে সম্রাটের

ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের বহিষ্কৃত সভাপতি ইসমাঈল চৌধুরী সম্রাট আগামী সপ্তাহ পর্যন্ত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) থাকবেন।

আজ বিএসএমএমইউয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানিয়েছেন হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল নজরুল ইসলাম।

নজরুল ইসলাম বলেন, আগামী সোমবার আমরা একটি মেডিকেল বোর্ড গঠন করবো। তার অবস্থা বিবেচনা করে পরিবারের সঙ্গে আলাপ করবো। তার অভিভাবকরা না নিয়ে যাওয়া পর্যন্ত তিনি এখানেই থাকবেন। এরমধ্যে কোনো অসুবিধা দেখা দিলে তাকে হয়তো আবারও দীর্ঘ সময়ের জন্য এখানে থাকতে হতে পারে।

সম্রাটের শারিরিক অবস্থা সম্পর্কে তিনি বলেন, একজন সুস্থ স্বাভাবিক মানুষের হার্টের ক্যাপাসিটি ৬০ থেকে ৬২ ভাগ থাকা দরকার, সেখানে ইসমাঈল চৌধুরী সম্রাটের হার্টের ক্যাপাসিটি ৩১ থেকে ৩৩ ভাগ বা কখনো কখনো ৩৪ ভাগ ছিল। এখানে ভর্তি হওয়ার আগেই, তার বাল্ব রিপ্লেসমেন্ট করা ছিল। এ পরিস্থিতিতে তিনি আমাদের কাছে এসেছেন। আমরা তাকে কয়েদি নয়, রোগী হিসেবে দেখেছি।

তিনি জানান, সম্রাট হাসপাতালে থাকা অবস্থায় স্বাভাবিক কার্যক্রম করতে পারতেন না। তারা শঙ্কিত ছিলেন। আজ সকালে আইজি প্রিজনের সঙ্গে তার কথা হয়েছে। আইজি প্রিজন জানিয়েছেন, তাদের দিক থেকে সম্রাট মুক্ত।

নজরুল ইসলাম বলেন, আমরা একটা বোর্ড গঠন করব। তার শারীরিক অবস্থা দেখে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। এতদিন অন্য কোথাও চিকিৎসা নেয়ার ব্যাপারে তারও কিছু সীমাবদ্ধতা ছিল। এখন আর সে বাঁধা নেই। তিনি বা তার পরিবার চাইলে, এখানে বা অন্য কোথাও কিংবা দেশের বাইরে চিকিৎসা নিতে পারবেন।

বিএসএমএমইউয়ের কার্ডিওলজি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডা. রায়হান মাসুম বলেন, ইসমাঈল চৌধুরী সম্রাটের হার্টের অবস্থা স্বাভাবিক রয়েছে। তবে উনার রোগের গতিবিধিটা এমন যে, ওষুধ চলা অবস্থায়ও যেকোনো সময় অসুস্থ হয়ে যেতে পারেন। গত তিন সপ্তাহে চেক করে দেখেছি, তার জীবনের ঝুঁকি নেই। যে কারণে আমরা মোটামুটি সেইফ সাইডে ছিলাম যে, তিনি যেতে পারবেন।

তিনি বলেন, যতদিন তিনি আমাদের কাছে ছিলেন, তার অভিভাবক ছিল জেল কর্তৃপক্ষ। এখন তারা যদি এই দায়িত্ব পরিবারের কাছে হস্তান্তর করে, তাহলে আমরা পরিবারের কন্ডিশন অনুযায়ী কী চিকিৎসা দরকার, সেটা জানাব। এরপর সিদ্ধান্ত তারা নেবেন, দেশে চিকিৎসা করাবেন নাকি বাইরে।