আপন জুয়েলার্সের প্রকৃত গ্রাহকদের স্বার্থ সুরক্ষায় ২৯ কেজি স্বর্ণের ব্যাপারে আইনী কাঠামোর মধ্যে মতামত প্রদানের জন্য পাঁচ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে শুল্ক গোয়েন্দা।
এই কমিটি গ্রাহকদের স্বার্থ সংরক্ষণের বিষয়টি যাচাই-বাছাই করে ১০দিনের মধ্যে সুস্পষ্ট একটি প্রতিবেদন জমা দেবে।
শুল্ক গোয়েন্দার যুগ্ম পরিচালক মো. সফিউর রহমানকে প্রধান করে এই কমিটি গঠন করা হয়েছে। এছাড়া এই কমিটিতে শুল্ক গোয়েন্দার দু’জন উপ-পরিচালক, আপন জুয়েলার্সের সংশ্লিষ্ট শাখার একজন উপযুক্ত প্রতিনিধি ও বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতির একজন উপযুক্ত প্রতিনিধি থাকবেন।
এর আগে গত ৬ জুন আপন জুয়েলার্স থেকে জব্দ করা সোনার মধ্যে ৩শ’ ৮৯ জন গ্রাহকের দাবি নিষ্পত্তি করতে তিন সদস্যের কমিটি করা হয়।
গত ১৪ ও ১৫ মে শুল্ক গোয়েন্দা আপন জুয়েলার্সের গুলশান ডিসিসি মার্কেট, গুলশান এভিনিউ, উত্তরা, সীমান্ত স্কোয়ার ও মৌচাকের ৫টি শোরুমে অভিযান চালিয়ে প্রায় ১৩.৫ মণ স্বর্ণ ও ৪২৭ গ্রাম ডায়মন্ড ব্যাখ্যাহীনভাবে সাময়িকভাবে আটক করে। এগুলো পরে আইনানুগভাবে প্রতিষ্ঠানের জিম্মায় দেয়া হয়।
আত্মপক্ষ সমর্থনে আপন জুয়েলার্স কর্তৃপক্ষকে ৩ বার শুনানির সুযোগ দিলেও তারা কোনপ্রকার বৈধ কাগজ দেখাতে পারেনি।
তবে আপনের মালিকপক্ষের দেয়া ১৮২ জনের তালিকার মধ্যে ৮৫ জন প্রকৃত গ্রাহককে মেরামতের জন্য জমা রাখা প্রায় ২.৩ কেজি স্বর্ণালঙ্কার অক্ষত অবস্থায় ফেরত দেয়া হয়েছে।