জনগণের সার্বিক নিরাপত্তার স্বার্থেই সামাজিক মাধ্যম বন্ধ রাখা হয়েছে। সরকার যখন মনে করবে জনগণ নিরাপদে আছে তখনই সামাজিক মাধ্যম ফেসবুক সহ ভাইবার, হোয়াটস অ্যাপের মতো মাধ্যম খুলে দেয়া হবে।
সাধারণ জনগণকে নিজেদের নিরাপত্তার স্বার্থে সাময়িক অসুবিধা মেনে নেয়ার আহ্বান জানিয়ে এসব কথা বলেছেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম। বৃহস্পতিবার রাতে চ্যানেল আইয়ে সম্প্রচারিত ‘বিবিসি প্রবাহ’ অনুষ্ঠানে সামাজিক মাধ্যম বন্ধ থাকার বিষয়ে সরকারের অবস্থান ব্যাখ্যা করতে গিয়ে এসব কথা বলেন তিনি। ১৮ নভেম্বর দেশজুড়ে প্রায় ৯০ মিনিট ইন্টারনেট সংযোগ বিচ্ছিন্ন থাকার বিষয়টিকে ‘কারিগরি ত্রুটি’ বলেন তিনি।
তবে বিষয়টি ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয় থেকে নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে না। সামাজিক মাধ্যম বন্ধের বিষয়টি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ের ন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন মনিটরিং সেন্টার (এনটিএমসি) থেকে নিয়ন্ত্রণ করা হয় বলেও জানান তিনি।
ডাক ও টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী বলেন,‘ নাশকতার ঘটার আগেই প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা হিসেবে আপাতত সামাজিক মাধ্যম বন্ধ আছে। প্যারিসে হামলার পর তদন্তে সামাজিক মাধ্যম ব্যবহার করে জঙ্গিদের সংগঠিত হওয়ার প্রমাণ পেয়েছে ফ্রান্সের পুলিশ। দেশেও সন্ত্রাসী-জঙ্গি গোষ্ঠী এসব মাধ্যম ব্যবহার করে একাধিকবার নাশকতার পরিকল্পনা করেছে। এ অবস্থায় সরকার পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আপাতত এসব মাধ্যম বন্ধ রেখেছে’।
সামাজিক মাধ্যম বন্ধের পর অপরাধীদের দ্রুত আইনের আওতায় আনা সহজ হয়েছে বলে দাবি করেন প্রতিমন্ত্রী। তিনি বলেন,‘ সামাজিক মাধ্যম বন্ধের পর দিনাজপুরে ইতালিয়ান যাজকের ওপর হামলাকারীদের সনাক্ত করে আইনের আওতায় আনা হয়েছে’।
সামাজিক মাধ্যম বন্ধের নির্দেশে ইন্টারনেট সংযোগ বিচ্ছিন্ন থাকা প্রসঙ্গে তারানা হালিম বলেন,‘ নির্দেশ দেয়ার পর সামাজিক মাধ্যম নিয়ন্ত্রণ করতে গিয়ে ইন্টারন্যাশনাল গেটওয়ের সঙ্গে সাময়িকভাবে জটিলতা তৈরি হয়। তবে এই ভুল বোঝার সঙ্গে সঙ্গে তা সংশোধনে সরকার ব্যবস্থা নেয়’।
তবে ভবিষ্যতে সামাজিক মাধ্যম নিয়ন্ত্রণ এবং এ জাতীয় প্রযুক্তিগত সংকট মোকাবেলায় এনটিএমসি’র সক্ষমতা বাড়ানো উচিৎ বলে মনে করেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী।