আন্তর্জাতিক নারী দিবস আজ। সমঅধিকার আদায় নিয়ে নারীদের আন্দোলনের শতবছর পেরিয়েছে ঠিকই কিন্তু অধিকার শতভাগ নিশ্চিত হতে এখনও অনেক পথ বাকী। তবে এ সময়ে এসে নারীর অধিকার নিয়ে ঐক্যমতের পথটা কিছুটা হলেও আলোর মুখ দেখেছে বলে মনে করছেন নারী নেত্রীরা।
১৮৫৭ সালে মজুরি বৈষম্য, কর্মঘন্টা নির্দিষ্ট করা ও কাজের অমানবিক পরিবেশের বিরুদ্ধে আমেরিকার রাস্তায় নেমেছিলো সুতা কারখানার নারী শ্রমিকরা। এর অর্ধশতাব্দী পর ১৯০৮ সালে নিউইউয়র্কের স্যোসাল ডেমোক্রেট নারী সংগঠনকে সঙ্গে নিয়ে জার্মান সমাজতান্ত্রিক নেত্রী ক্লারা জেটকিনের নেতৃত্বে প্রথম আর্ন্তজাতিক নারী সম্মেলন।
সেই শুরু এরপর ১৯১০ সালে ডেনমার্কের কোপেনহেগেনে দ্বিতীয় সম্মেলন। ঐ সম্মেলনেই ৮ মার্চকে আন্তজার্তিক নারী দিবস পালনের প্রস্তাব করা হয়। ১৯১১ সাল থেকে দিনটি নারীর সম অধিকার দিবস হিসেবে পালনের ঘোষণা আসে। ১৯১৪ সাল থেকে বিভিন্ন দেশ নারী দিবস পালন করতে শুরু করে। পরবর্তীতে নারী দিবসকে স্বীকৃতি দেয় জাতিসংঘ।
নানান ঝুঁকিপূর্ণ পেশায় নারীর পদচারণা আগের চেয়ে অনেক বেড়েছে। তবে নারীদের কাজের দক্ষতা বৃদ্ধি ও মুল্যায়ন নিশ্চিত করার সময় এসেছে বলে জানান জাতীয় প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ফরিদা ইয়াসমিন।
নারীদের কাজের মুল্যায়নের জন্য নিজেদের মধ্যে ঐক্য গড়ে তোলার পরামর্শও তাদের। সুবিচার আর মর্যাদার প্রতীক বেগুনি। আর তাই আন্তর্জাতিক নারী দিবসে এই রংটিকে প্রতীক হিসেবে বেছে নেয়া। আত্মপ্রত্যয়ে এগিয়ে যাও নারী।
আরও দেখুন জান্নাতুল বাকেয়া কেকা’র ভিডিও রিপোর্টে: