আন্তর্জাতিক দারিদ্র্য বিমোচন দিবস পালনে বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা ব্র্যাকের আয়োজনে ‘দারিদ্র্যের প্রতিবন্ধকতা জয়: কোভিড-১৯ প্রেক্ষাপটে দারিদ্র্য বিমোচনে নতুন অগ্রাধিকার’ শীর্ষক একটি ওয়েবিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে।
টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা-১ অর্জনে সরকারসহ অন্যান্য সহযোগী সংস্থার ভূমিকা, বিশেষত, কোভিড-১৯ সময়ে অর্থনৈতিক গতিশীলতা পুনরুদ্ধারের ক্ষেত্রে অতিদরিদ্রদের জন্য গৃহীত বিভিন্ন পরিকল্পনা সম্পর্কে ধারণা অর্জন করা ছিলে ওয়েবিনারের মূল উদ্দেশ্য।
ওয়েবিনারে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেনধ: ফরেন কমনওয়েলথ অ্যান্ড ডেভলপমেন্ট অফিস, বাংলাদেশের ডেভলপমেন্ট ডিরেক্টর মিস জুডিথ হারবার্টসন, ওয়ার্ল্ড ব্যাংকের কান্ট্রি ডিরেক্টর (বাংলাদেশ ও ভুটান) মার্সি মিয়াং টেমবন, ওয়ার্ল্ড ব্যাংকের সাবেক ঊর্ধ্বতন উপদেষ্টা সৈয়দ এম. হাশেমী এবং ব্র্যাক ও ব্র্যাক ইন্টারন্যাশনালের মাইক্রোফাইন্যান্স অ্যান্ড আল্ট্রা-পুওর গ্রাজুয়েশনের ঊর্ধ্বতন পরিচালক শামেরান আবেদ।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা ও ব্র্যাকের চেয়ারপার্সন ড. হোসেন জিল্লুর রহমান। একইসাথে দারিদ্র্য বিমোচনে ব্র্যাকের অভিজ্ঞতা এবং মাঠপর্যায়ে করোনাকালীন সময়ে ব্র্যাকের বিশেষ কার্যক্রমও এই ওয়েবিনারে সংক্ষিপ্ত আকারে তুলে ধরা হয়।
মার্সি মিয়াং টেমবন তার বক্তব্যে বলেন, ‘বাংলাদেশের চমৎকার নীতিমালা রয়েছে, প্রয়োজন সঠিক বাস্তবায়নের। এক্ষেত্রে, সম্পদের সঠিক ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে, অর্থনীতিতে আরো সুযোগ সৃষ্টি করতে হবে এবং সামাজিক সুরক্ষা বেষ্টনীকে এমনভাবে কাজে লাগাতে হবে যেন দরিদ্র জনগোষ্ঠী এই বেষ্টনীর মাধ্যমে দুর্যোগে নিজেদের মধ্যে সহনশীলতা সৃষ্টি করতে পারে।’
অন্যদিকে, জুডিথ হারবার্টসন বাংলাদেশের জনগণের সহনশীলতার ভূয়সী প্রশংসা করে বলেন, ‘বাংলাদেশে সামাজিক সুরক্ষা বেষ্টনী সঠিকভাবে প্রয়োগ করতে হলে টার্গেটিং-এর দিকে নজর দিতে হবে।’ তিনি কোভিড-১৯ প্রাক্কালে সরকারিভাবে বিভিন্ন উন্নয়ন পরিকল্পনা গ্রহণ এবং দারিদ্র্য দূরীকরণে নতুন উদ্ভাবনের ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
ড. হোসেন জিল্লুর রহমান বলেন, ‘সকলের জন্য সামাজিক ন্যায়বিচার এবং সহনশীলতার দিকে নজর দিতে হবে। যদিও, আমাদের খুব ভালো নীতিমালা আছে, কিন্তু কেবলমাত্র তা নিয়ে সন্তুষ্ট থাকলেই চলবে না, বরং আমাদের সীমাবদ্ধতার দিকেও নজর দিতে হবে।’