শেখ কামাল আন্তর্জাতিক ক্লাব কাপের ফাইনাল রূপ নিয়েছে দুই বাংলার লড়াইয়ে। সন্ধ্যা ৭টা ৪০ মিনিটে ফাইনালে মুখোমুখি হবে দুই বাংলার ঐতিহ্যবাহী দুইটি ক্লাব চট্টগ্রাম আবাহনী ও কলকাতা ইস্টবেঙ্গল। দুই দলের কোচ ও অধিনায়ক ফাইনাল জয়ের ব্যাপারে আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেছেন, লড়াই করেই চূড়ান্ত জয় ছিনিয়ে আনবেন তারা।
স্বাগতিক হিসেবে চট্টগ্রাম আবাহনী বাড়তি সুবিধা পাবে, তাদের পক্ষে পুরো স্টেডিয়ামই আওয়াজ তুলবে। তবে গ্রুপ পর্বে ইস্ট বেঙ্গলের কাছে ২-১ গোলে হেরে ছিলো চট্টগ্রাম আবাহনী। ফাইনালের আগে ওই হারকে প্রতিশোধের সুযোগ হিসেবে দেখছে স্বাগতিকরা।
যদিও ফাইনালের চাইতেও বড় ম্যাচটিকে ঘিরে রয়েছে দুই দলের সেরা খেলোয়াড়দের ওপর চাপ। ইস্ট বেঙ্গলকে বিদেশের মাটিতে পঞ্চম শিরোপার স্বপ্ন দেখাচ্ছে গোলরক্ষক দিব্যেন্দু সরকার ও দলের মাঝ মাঠের প্রাণভোমরা মোহাম্মদ রফিক।
অবশ্য ইস্ট বেঙ্গলকে খানিকটা দুঃচিন্তায় ফেলেছেন নাইজেরিয়ান স্টপার বেলো রাজ্জাক। ফাইনালে তার খেলা অনিশ্চিত। তবে মিড ফিল্ডার রফিককে ঘিরেই স্বপ্নের জয়ের জাল বুনছে কলকাতার ক্লাবটি।
গতকাল বৃহস্পতিবার সকালেও রফিকের মা ফোন করে ছেলেকে বলেছেন, ইস্ট বেঙ্গলকে জেতালে তার জন্য থাকবে মায়ের হাতের স্পেশাল বিরিয়ানী।
পুরো টুর্নামেন্টে একটাও ম্যাচ হারেনি ইস্টবেঙ্গল। গোল করেই যাচ্ছেন তারকা স্ট্রাইকার র্যান্টি মার্টিন্স। নজর কাড়ছেন আরেক স্ট্রাইকার ওরোকের খেলাও। দলের সঙ্গে যোগ দিয়েছেন ফিট ডো ডং।
এর আগে ১৯৯৫ সালে কলম্বোতে এশিয়ান ক্লাব কাপ, ১৯৯৩ সালে কাঠমান্ডুতে ওয়াই ওয়াই কাপ, ২০০৩ সালে জাকার্তায় আসিয়ান কাপ এবং ২০০৪ সালে কাঠমান্ডুতে সান মিগুয়েল কাপ জেতে ইস্ট বেঙ্গল।
স্বপ্নপূরণের শেষ ধাপে দাঁড়িয়ে চট্টগ্রামের ফুটবল আকাশে এখন বারুদের গন্ধ। আজ শুক্রবার ইস্ট বেঙ্গলকে হারাতে পারলেই প্রথম আসরের চ্যাম্পিয়নের নাম হবে চট্টগ্রাম আবাহনী। আয়োজক দল হিসেবে এর চেয়ে আর বেশি কি চাওয়ার আছে? ফাইনালে জিততে দলের সবাই এখন আত্মবিশ্বাসী। ডিফেন্ডার রেজাউল, গোলরক্ষক লিটন, জাহিদ, এমিলিদের ম্যাচ জেতার মূলমন্ত্র জপে দিচ্ছেন কোচ মানিক।
সেমিফাইনালে দেই গোল করে ম্যাচসেরা এলিটা কিংসলের দিকে আজও তাকিয়ে থাকবে স্বাগতিকরা। টুর্নামেন্টের সেরা স্কোরার হিসেবে চার ম্যাচে চারটি গোল করা জাহিদ আলোচনায় থাকলেও তিন গোল পাওয়া নাইজেরিয়ান স্ট্রাইকার কিংসলেও চট্টগ্রাম আবাহনীর বড় অস্ত্র।
তবে প্রত্যাশার পারদ জ্বলজ্বল করছে জাহিদ ও এমিলির পারফরমেন্সের ওপর। আর কিংসলে জানিয়েছেন, ফাইনালে গোল করার জন্য মুখিয়ে রয়েছেন তিনি।
সব কিছু ঠিকঠাক থাকলে ‘প্রতিশোধ’ মিশন আর জমজমাট এক ফুটবল লড়াইয়ের ফাইনাল দেখার প্রত্যাশায় দেশের লাখো ফুটবলপ্রেমী।