কিছুদিন আগেই অবসরের ঘোষণা দিয়েছেন সাউথ আফ্রিকান পেসার ভারনন ফিল্যান্ডার। সেই পথেই হাঁটলেন আরও এক তারকা পেসার। ক্রিকেট থেকে সরে দাঁড়ালেন অস্ট্রেলিয়ান স্পিডস্টার পিটার সিডল। সিডনিতে নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে চলতি সিরিজের তৃতীয় টেস্ট থেকে বাদ পড়েছিলেন। তারপরই সতীর্থদের অবসরের কথা জানিয়ে দেন অজি পেসার। ৬৭ টেস্টে সিডল ২২১টি উইকেট নিয়েছেন তিনি।
অস্ট্রেলিয়া-নিউজিল্যান্ড সিরিজের সম্প্রচারকারী সংস্থা ফক্স স্পোর্টসকে দেয়া সাক্ষাতকারে সিডল বলেছেন, ‘অবসরের সঠিক সময় কোনটা, তা নির্ণয় করা রীতিমতো কঠিন বিষয়। আমার লক্ষ্য ছিল অ্যাশেজে অংশগ্রহণ করা। সেই সিরিজে খেলতে চেয়েছিলাম। তবে বাদ পড়তেই পেইন (অধিনায়ক) ও জাস্টিন ল্যাঙ্গারের (কোচ) সঙ্গে কথা বলি। ইংল্যান্ডেই অবসর নিতে চেয়েছিলাম। তবে দেশের মাটিতে অবসর নেয়ার অনুভূতিই আলাদা।’
আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসর নিলেও ঘরোয়া ক্রিকেটে অবশ্য সিডল খেলা চালিয়ে যাবেন। রাজ্যস্তরে সিডল খেলেন ভিক্টোরিয়া এবং বিগব্যাশ লিগে অ্যাডিলেড স্ট্রাইকার্সের হয়ে। কাউন্টিতে এসেক্সের হয়েও খেলবেন সিডল।
ভিক্টোরিয়ার এই তারকা পেসার বেশ কয়েকবছর ধরেই অসি পেস ব্যাটারির অন্যতম অস্ত্র ছিলেন। ২০০৮ সালে মোহালিতে ভারতের বিরুদ্ধে টেস্টে অভিষেক ঘটে সিডলের। প্রথম উইকেটই ছিল শচীন টেন্ডুকারের। ২০১০ সালে ঘরের মাটিতে অ্যাশেজ সিরিজে নবম অস্ট্রেলিয়ান হিসেবে টেস্ট ক্রিকেটে হ্যাটট্রিকের নজিরও স্থাপন করেছিলেন। নিজের ২৬তম জন্মদিনে পরপর আউট করেছিলেন অ্যালিস্টার কুক, ম্যাট প্রিয়র এবং স্টুয়ার্ট ব্রডকে।
গ্লেন ম্যাকগ্রাথ ও শেন ওয়ার্নদের মতো মহাতারকাদের অবসরের পরে সিডল বেশ কিছুদিন অস্ট্রেলিয়ার বোলিং আক্রমণের নেতৃত্ব দিয়েছিলেন। তবে প্যাট কামিন্স, জোস হ্যাজেলউড এবং মিচেল স্টার্কের উত্থানের পর প্রথম একাদশে বেশ কয়েকবছর ধরেই অনিয়মিত হয়ে পড়েছিলেন। সেই সঙ্গে চোট আঘাত ধার কমিয়ে দিয়েছিল। টেস্টের পাশাপাশি ২০টি একদিনের ম্যাচ ও ২টি টি-টুয়েন্টি ম্যাচেও খেলেছেন সিডল।
সিডলের অবসর ঘোষণার পরে অধিনায়ক টিম পেইন বলেছেন, ‘বহুবছর ধরে সিডল দলের ভরসার কেন্দ্র হয়ে ছিলেন। দুর্দান্ত একজন বোলার ছিলেন এতে কোনো সন্দেহ নেই। তাকে সবাই মিস করবে।’