সাম্প্রতিক সময়ে চলা একের পর এক জঙ্গিবিরোধী অভিযান নিয়ে প্রশ্ন তুলে বিতর্কের ঝড় তুলেছেন তেল-গ্যাস-খনিজ সম্পদ ও বিদ্যুৎ বন্দর রক্ষা জাতীয় কমিটির সদস্য সচিব অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ। সামাজিক মাধ্যম ফেসবুকে এই অভিযানগুলোকে প্রশ্নবিদ্ধ করে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের এই অধ্যাপক তীব্র সমালোচনার মুখে পড়েছেন। শনিবার দুপুরের দিকে দেয়া এই বিতর্কিত পোস্টকে অনেকেই দেখছেন জঙ্গিবাদের পক্ষে হিসেবে। জঙ্গিবিরোধী অভিযান নিয়ে তার এমন অবস্থানের পর জাতীয় কমিটির পদ থেকে তার অব্যাহতিও চেয়েছেন অনেকে। অতি ‘আওয়ামী লীগ বিরোধী প্রবণতায়’ তার অবস্থান যে স্বাধীনতাবিরোধী শক্তির প্রতিও ঝুঁকে যায়, এমন মন্তব্যও এসেছে।
চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে ১৫ মার্চ থেকে দুটি ‘জঙ্গি আস্তানায়’ পৃথক অভিযান চালায় পুলিশ। সীতাকুন্ডের নামার বাজার ওয়ার্ডের আমিরাবাদ এলাকায় ‘সাধন কুটির’ নামে একটি দোতলা ভবনে প্রথম অভিযানে বিস্ফোরক দ্রব্যসহ এক দম্পতিকে আটক করা হয়। তাদের দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে পরে প্রেমতলা ওয়ার্ডের চৌধুরী পাড়ায় ছায়ানীড় ভবনে দ্বিতীয় অভিযানে ৪ জঙ্গি নিহত হয়।
এরপর গত ২৩ মার্চে সিলেটের শিববাড়িতে ৫ দিন ধরে চলা অভিযানে নিহত হয় ৪ জঙ্গি। র্যাবের গোয়েন্দা শাখার পরিচালক, দুই পুলিশ কর্মকর্তাসহ নিহত হন ৬ জন। আহত হন প্রায় অর্ধশত। মৌলভীবাজারের বড়হাটে জঙ্গি আস্তানায় অভিযানে ৩ জঙ্গি ও নাসিরপুরে অভিযানে ৭ জঙ্গি নিহত হয়। কুমিল্লার কোটাবাড়িতে অভিযানে কোন জঙ্গি পাওয়া না গেলেও সুইসাইডাল ভেস্ট ও কিছু বিস্ফোরক দ্রব্য পাওয়া যায়।
সম্প্রতি একনাগাড়ে আইনশৃঙ্খলা-বাহিনীর বেশকয়েকটি জঙ্গিবিরোধী অভিযানকে প্রশ্নবিদ্ধ করে শনিবার ১২ টা ৪৪ মিনিটে ফেসবুকে আনু মুহাম্মদ লিখেন,
“বিভিন্ন বাহারী নাম আর বিপুল আয়োজনে ‘জঙ্গীদমন’ অভিযান চলছে। বহুঘন্টার একটি ‘সফল অভিযানের’ ফলাফল হিসেবে জানানো হলো সাতজন ‘জঙ্গী’ নিজেদের ‘আত্মঘাতী বোমায়’ নিহত, পরে জানা গেলো সাতজনের চারজনই শিশু, দুজন বয়স্ক মহিলা, একজন পুরুষ! ময়নাতদন্ত অনুযায়ী, তারা নিহত হয়েছে অভিযানের শুরুর দিকেই। তারপরও বহুঘন্টা চলেছে গুলি ইত্যাদি! আসলে ঘটনা কী? প্রশ্নের জবাব মেলার বদলে আরও বাড়ছেই কেবল। র্যাবের গোয়েন্দা প্রধান কীভাবে নিহত হলেন? এরকম একজন বড় কর্মকর্তার কাছে যে কেউ পৌঁছে যেতে পারলো কিংবা বোমা রাখলো কীভাবে? গত তিনমাসে ৪৪ জন ‘ক্রসফায়ারে’ অর্থাৎ পুলিশ বা র্যাবের হেফাজতে খুন হয়েছে, কেন? র্যাব ডিবি পরিচয়ে যাদের বাড়ি বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে তারাই পরে জঙ্গী বা সন্ত্রাসী হিসেবে আটক হচ্ছে আবার ক্রসফায়ারেই নিহত হচ্ছে, কীভাবে? তদন্ত, সত্য অনুসন্ধান এবং প্রকৃত অপরাধীদের বিচারে সরকারের এতো অনাগ্রহ কেন? এসব প্রশ্নের উত্তর মিডিয়ার অনুসন্ধানেই পাওয়া যেতো হয়তো। কিন্তু মিডিয়া এখন প্রধানত সরকারি প্রেসনোট আর মন্ত্রীসহ বিভিন্ন সরকারি কর্মকর্তার ভাষ্য প্রকাশের মাধ্যম। সেটাতেও আরও ঘোলা হচ্ছে সব, কেননা সরকারেরই একেকজনের বক্তব্য একেকরকম।”
জঙ্গি বিরোধী অভিযান বিষয়ে আনু মুহাম্মদের অবস্থান পরিষ্কার করার পর তার তীব্র সমালোচনা করে অনলাইন অ্যাক্টিভিস্ট রাজেশ পাল ফেসবুকে লিখেছেন:
“আনু মোহাম্মদ স্যারের আসলে দয়ার শরীর্। তারচেয়েও বেশী মমতায় পূর্ণ অন্তরের অধিকারী তিনি।
তাই জঙ্গি দমন অভিযানে কয়েকজন শিশুও মারা যাওয়ায় তাঁর হৃদয়ে রক্তক্ষরণ হওয়াটাই স্বাভাবিক।
কিন্তু স্যার, আপনি যে এখানে সোয়াট বাহিনীর গুলি চালানোকে বর্বরতা হিসেবে দেখছেন, এই অপারেশনে তো গুলিতে কোন জঙ্গি মারা পড়েনি। পোস্ট মর্টেম রিপোর্টেই দেখা গেছে যে, এদের কারো গায়ে গুলির কোন চিহ্ন নেই। এরা মারা গেছে নিজেদের সুইসাইডাল ভেস্টে বিস্ফোরণ ঘটিয়ে আত্মহত্যার মাধ্যমে। সাথে নিয়ে গেছে নিষ্পাপ শিশুগুলোকে।
কাজেই ধিক্কার জানাতে হলে তাদের প্রকৃত হত্যাকারী জঙ্গিদের প্রতিই জানান। আপনার আমার জীবন নিরাপদ রাখতে যারা নিজেদের জীবন বাজি রেখে দিনরাত দায়িত্ব পালন করে চলেছেন, সেই আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে অযথা বিতর্কিত করার আদৌ কোন মানে আছে কি?
রাজাকারদের পেইড এজেন্ট জাতির দুলাভাই বার্গম্যানের জন্য আপনার হৃদয় কেঁদেছিলো, আর আজ কেঁদে উঠছে ধর্মের নামে মানুষের রক্তে হোলিখেলা জঙ্গিদের জন্য। কর্নেল আজাদ বা ইন্সপেক্টর মনিরুলদের জন্য কিন্তু আপনাদের হৃদয় কাঁদেনা কখনো। তাই এদের জন্য কিছু লিখতে গেলে আপনাদের কলমের কালি ফুরিয়ে যায়।
নিজের মনেই ভাবনা জাগে, এই সুশীল মুখোশের আড়ালে আপনারা আসলে কার পারপাস সার্ভ করে চলেছেন প্রতিনিয়ত?”
আনু মুহাম্মদের সেই পোস্টের মাধ্যমে জঙ্গিবাদের পক্ষে তার অবস্থান স্পষ্ট হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন সিলেট টুডে টোয়েন্টিফোর.কমের সম্পাদক কবির য়াহমদ। জাতীয় কমিটি থেকে তার অব্যাহতিও চেয়েছেন তিনি। ফেসবুকে তিনি লিখেছেন, “তেল গ্যাস খনিজ সম্পদ ও বিদ্যুৎ বন্দর রক্ষা জাতীয় কমিটির নেতৃত্ব পর্যায়ে থাকা একজন শিক্ষক অদ্য ইনিয়েবিনিয়ে জঙ্গিবাদের পক্ষে তার অবস্থানকে তুলে ধরেছেন।
জানি না তার এ অবস্থান আলোচনায় আসতে চাওয়ার উদগ্র বাসনা থেকে, নাকি অপরাপর জঙ্গিদের মতো হঠাতই নিখোঁজ হয়ে যাওয়ার প্রাথমিক পর্যায় থেকে।
সরাসরি জেহাদি হোন আর না হোন, আমাদের আহ্বান থাকবে জঙ্গিবাদের পথ থেকে, এবং জঙ্গিদের পক্ষ থেকে সরে আসতে, অথবা এমন কোনো ধরনের উসকানি না দিতে।
আর একান্তই যদি আহবানে সাড়া না দেন তাহলে মনে করিয়ে দিচ্ছি জঙ্গিবাদের পক্ষ ছাড়লে আছে অর্থের হাতছানি। জঙ্গিবাদের পথ পরিহার করে সরকারঘোষিত অর্থগ্রহণে নিজেকে স্বাবলম্বি করে তুলতে পারেন তিনিও।
জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে আমার ব্যক্তিগত অবস্থান পরিষ্কার। মনে করি, জেহাদি আর ইনিয়েবিনিয়ে জঙ্গিবাদবিরোধী অভিযানের সমালোচনাকারী একই।
সাহসের অভাবে জেহাদি, আত্মঘাতী হতে পারছে না কেউ কেউ, কিন্তু সাহস করে জঙ্গিবাদের পক্ষে অবস্থান নিচ্ছে অনেকেই।
শিক্ষকতা এক অলংকার, এ অলংকারকে সম্মান করি; সম্মান করে যেতে চাই। কিন্তু জঙ্গি, জঙ্গিবাদের প্রশ্রয়দাতা, জঙ্গিবাদের পক্ষে কথা বলা লোক, আর জঙ্গিবাদবিরোধী অভিযানকে প্রশ্নের মুখোমুখি করতে যাওয়ার মতো অবিবেচনাপ্রসূত যেকোনো কিছুর বিপক্ষে আমার অবস্থান। তাই এ দলভুক্তরা শিক্ষক না অন্য কিছু হলেও তাকে শত্রুজ্ঞান করি।
আর এ গোত্রভুক্তদের বিরুদ্ধে কথা বলা পবিত্র দায়িত্বও মনে করি।
?
সংযুক্তি: জঙ্গিবাদের পক্ষে অবস্থান নেওয়া অধ্যাপক আনু মুহাম্মদকে তেল গ্যাস খনিজ সম্পদ ও বিদ্যুৎ বন্দর রক্ষা জাতীয় কমিটি থেকে অব্যাহতির দাবি জানাচ্ছি। যারা জঙ্গিবাদের পক্ষে অবস্থান নেয়, তারা আর যাই হোক রামপাল তাপবিদ্যুতকেন্দ্র নির্মাণবিরোধী আন্দোলনের নেতৃত্ব দিতে পারে না।”
কবি ও ব্লগার ডাল্টন সৌভাত হীরা আনু মুহাম্মদের সমালোচনা করে ফেসবুকে লিখেন,
“আনু স্যারকে শ্রদ্ধা করি, আমার প্রথম তারুণ্যে আমার মত আরো অনেককে বিপ্লবের স্বপ্ন দেখিয়েছিলেন তিনি।যা হোক, সে বহুদিন আগের কথা, আনু স্যার আমার ফ্রেন্ডলিস্টে নাই বহুদিন হল। ডেভিড বার্গমানের পক্ষে স্যারের দেয়া বিবৃতি’র সময় থেকে।
বহুদিন পর স্যারের ওয়ালে গেলাম; কালকে ওনার বহুল আলোচিত স্টাটাসটি পড়তে। স্টাটাসটি আপনারা সবাই পড়েছেন, জেনেছেন, নতুন করে বলার খুব কিছু নাই। আমি অবাক হয়েছি, স্টাটাসটির প্রতি সমর্থনদানকারী কমেন্ট গুলো দেখে। তাদের কয়েকজনে ওয়ালে গেলাম, সেখানে রীতিমত বাঁশের কেল্লা শেয়ার চলছে। শহীদ নিজামীর প্রতি কান্নাকাটি চলছে। আনু স্যার দেখলাম কমেন্টগুলোতে লাইক ও দিয়েছেন।
সংযুক্তি তথ্য হচ্ছে, আনু স্যারের ওয়ালে কিন্তু পাবলিক কমেন্ট বন্ধ। যারা কমেন্ট করছেন তারাই তার বন্ধু। স্যার, যে কোন প্রকারেই আওয়ামী বিরোধীতার প্রবণতা আপনাকে কোথায় নামাচ্ছে বুঝতে পারছেন?
পরের কথা এত কিছুর পরেও পহেলা বৈশাখের মঙ্গল শোভাযাত্রার বিপক্ষেই কেন জানি আপনার সহযোদ্ধা বিপ্লবী কমরেডদের কথা বলতে দেখছি। আপনাদের সুর আর গতকাল বায়তুল মোকাররামের সামনে পহেলা বৈশাখের বিরুদ্ধে রাস্তায় নামা মৌলবাদীদের গলার সুর ও যেন এক। অথবা তাদের বিপক্ষে আপনি ও আপনাদের কথা বলতে শুনছি না। আপনি কথা বলছেন, এমন এক প্রসঙ্গে যেখানে আপনার সহানুভূতি পরোক্ষভাবে এই জঙ্গীদের দিকেই যাচ্ছে। আপনার কালকের স্ট্যাটাস আর বাঁশের কেল্লার পোস্টের মুল ভাষাও কেন জানি একই।
আমি তবু সূর্য্যপুত কর্ণ, সকল ভগ্ন হতাশ সারথিকূল
সবারে জানাই প্রণাম
মনে রেখ প্রিয় বিপ্লবী, বিপ্লব বারবার এক প্রতারণার নাম।”
পানি বিশেষজ্ঞ ইয়ামেন এম হক আনু মুহাম্মদের সমালোচনা করে ফেসবুকে লিখেন,
“আনু মোহাম্মদ কি বুঝেন ডেভিড বার্গম্যানের পক্ষে সাফাই গাওয়া, পুলিশ/র্যা্ব/সেনাবাহিনীর জঙ্গি দমন অভিযান সম্পর্কে সন্দেহ প্রকাশ করা, এসব করে নিজের যৌক্তিক কর্মসূচীগুলোকেও প্রশ্নের মুখে ঠেলে দেন? এখন যখন ‘সুন্দরবন ধ্বংস করে… ‘ পেইজ থেকেও ‘জঙ্গিবাদ নাটক’ বলে পোস্ট আসে, তখন রামপাল বিরোধী কর্মসূচীও প্রশ্নবিদ্ধ হয়ে যায়।
আনু মোহাম্মদ এবং যাবতীয় বামাতি গং এভাবেই নিজেদের মুরিদকূল ছাড়া দেশের বাকি মানুষের কাছে আস্থা হারান, নিজেদের সম্মান এবং গ্রহনযোগ্যতা খর্ব করেন। এবং এই জন্যই দেশের বাম দলগুলো কেবল জামাতিদের ‘কমেডিক সাইডকিক’ ব্যতীত অন্য কোন ভূমিকা রাখতে পারে নাই গত কয়েক দশকে।
আওয়ামী লীগের সমালোচনা বা বিরোধীতা করা যাবে না কেন? করেন। কিন্তু যখন লাগাতার খালি সব কলসির ফুটোই খুজতে থাকেন এভাবে, তাহলে নিজের ফুটো যে মানুষের কাছে অনাবৃত রেখে দিচ্ছেন, তা কখনও বুঝেন নাই আপনারা, বুঝবেনও না হয়তো!”
চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে দুটি ‘জঙ্গি আস্তানায়’ পৃথক অভিযান শেষ হয় ১৬ মার্চ। সীতাকুন্ডের ছায়ানীড় ভবনে ‘অ্যাসল্ট-সিক্সটিন’ অভিযানে ৪ জঙ্গি নিহত হয়, সীতাকুণ্ড থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মোজাম্মেল হক আহত হন। জঙ্গি আস্তানাটি থেকে ২০ জন বাসিন্দাকে নিরাপদে সরিয়ে নেয়া সম্ভব হয়।
সিলেটের শিববাড়ির দক্ষিণ সুরমার জঙ্গি আস্তানা আতিয়া মহলে টানা ৫ দিন সেনাবাহিনীর প্যারা কমান্ডো দলের অভিযান চলে। ২৩ মার্চ গভীর রাত থেকে ২৭ মার্চ পর্যন্ত চলা এই ‘অপারেশন টোয়াইলাইট’ এ বাড়িটিতে জিম্মি হয়ে পড়া ৭৮ জনকে উদ্ধার করা হয়। অভিযানস্থলের বাইরে দুই দফা বোমা বিস্ফোরণে দুই পুলিশ কর্মকর্তাসহ ছয়জন নিহত ও ৪৪ জন আহত হন। ঘটনাস্থলেই নিহত দুই পুলিশ সদস্য হলেন জালালাবাদ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মনিরুল ইসলাম ও আদালত পুলিশের পরিদর্শক চৌধুরী মো. আবু কয়সার। চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান র্যাবের গোয়েন্দা শাখার পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ। সিলেটের অভিযানে নিহত হয় ৪ জঙ্গি।
এই অভিযানের রেশ কাটতে না কাটতেই জঙ্গি আস্তানা সন্দেহে ২৯ মার্চ ভোররাত থেকে মৌলভীবাজার শহরের বড়হাট এলাকা, পরে এর সূত্র ধরে সদর উপজেলার নাসিরপুরের আস্তানা শনাক্ত করে ঘেরাও করে রাখে পুলিশ। দুটি আস্তানা থেকে বিস্ফোরণ ঘটায় জঙ্গিরা। বড়হাট এলাকার জঙ্গি আস্তানায় ‘অপারেশন ম্যাক্সিমাস’ আনুষ্ঠানিকভাবে সমাপ্তি ঘোষণা করা হয় শনিবার (১ এপ্রিল)। অভিযানে তিন জঙ্গি নিহত হয়। নাসিরপুরে ‘অপারেশন হিট ব্যাক’ অভিযানে আত্মঘাতি হামলায় ৭ জঙ্গি নিহত হয়। চার শিশু, দুই নারীসহ সাতজনের ছিন্নভিন্ন লাশ উদ্ধার করা হয়।
গত বুধবার (২৯ মার্চ) থেকে কুমিল্লার কোটবাড়ীর জঙ্গি আস্তানা ঘিরে রাখলেও সিটি নির্বাচনের কারণে ‘অপারেশন স্ট্রাইক আউট’ শুরু হয় শুক্রবার। অভিযানে সুইসাইডাল ভেস্ট ও কিছু বিস্ফোরক দ্রব্য পাওয়া গেলেও কারও অবস্থান পাওয়া যায়নি।