আনুষ্ঠানিকভাবে জাতিসংঘের শিক্ষা, বিজ্ঞান ও সংস্কৃতি বিষয়ক সংস্থা ইউনেস্কো থেকে বেরিয়ে গেলো যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েল।
২০১৭ সালে বের হয়ে যাওয়ার ঘোষণা ২০১৯ সালের প্রথম দিনই বাস্তাবয়ন করলো এই দুটি দেশ।
আলজাজিরা জানায়, ২০১৭ সালের অক্টোবরে ইসরায়েল বিরোধী অবস্থানের অভিযোগ এনে ইউনেস্কো থেকে বেরিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেয় ট্রাম্প প্রশাসন। তাদের অনুসরণ করে একদিন পরই ইউনেস্কো থেকে বের হওয়ার ঘোষণা দেয় ইসরায়েল।
যুক্তরাষ্ট্রের ইউনেস্কো ছাড়ার সিদ্ধান্তকে ‘সাহসী ও নৈতিক’ বলে প্রশংসা করে ইসরায়েলও সেই পথ অনুসরণ করবে বলে সেসময় এক বিবৃতিতে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু।
২০১১ সালে ফিলিস্তিনিকে সদস্যপদ দেয় প্যারিসভিত্তিক প্রতিষ্ঠান ইউনেস্কো। এছাড়া পশ্চিম জেরুজালেমে ইসরায়েলের কর্মকাণ্ডেরও সমালোচনা করে আসছে প্রতিষ্ঠানটি।
ফিলিস্তিনিকে সদস্যপদ দেয়ায় যুক্তরাষ্ট্রের সমালোচনার মুখে পড়ে ইউনেস্কো। এমনকি এক পর্যায়ে ইউনেস্কোতে চাঁদা দেয়া বন্ধ করে দেয় যুক্তরাষ্ট্র। সংস্থাটির মোট বাজেটের ২২ শতাংশই অনুদান দিতো যুক্তরাষ্ট্র।
তখন একই পথ অনুসরণ করে ইসরায়েলও ইউনেস্কোর চাঁদা দেয়া বন্ধ করে দেয়। ফলে দেশ দুটির কাছে ইউনেস্কোর বকেয়ার পরিমাণ অনেক হয়ে যায়।
তবে যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েল বের হয়ে গেলেও ইউনেস্কো আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে না বলে মনে করা হচ্ছে। যদিও মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর থেকে এই বিষয়ে কোনও মন্তব্য জানা সম্ভব হয়নি।