বলা হয়ে থাকে, পৃথিবীর সবচে ভারী জিনিস হলো, ‘বাবার কাঁধে ছেলের লাশ।’ বাবা-মার হাত ধরে সন্তান পৃথিবীর মুখ দেখে। বাবার হাত ধরে চলতে শুরু করে। সন্তান বড় হতে হতে বাবা পৌঁছে যান বার্ধক্যে। এভাবেই একদিন মারা যান বাবা। বাবার লাশ কাঁধে বয়ে নিতে হয় ছেলেকে এটাই স্বাভাবিক নিয়ম। কিন্তু মাঝে মাঝে সেই নিয়মের ব্যত্যয় ঘটিয় ঘটে। তখনই যখন ছেলে লাশ হয়ে বাবার কাঁধে চেপে বসে। তবে সেই লাশের ভার বাবার হৃদয়কে করে তোলে ব্যথাতুর।
বাবার শোক বোঝাতেই বলা হয় ‘বাবার কাঁধে ছেলের লাশই জগতের সবচে ভারী বস্তু।’ প্রয়াত ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আনিসুল হককে শায়িত করা হয়েছে ছেলের কবরে। ২০০২ সালে ছয় বছর বয়সে মারা যান আনিসুল হকের ছোট ছেলে মো. শারাফুল হক।
মৃত ছেলের নামে একটি পাঠাগার করেছেন সাবেক টিভি উপস্থাপক ও মেয়র আনিসুল হক। তার পোশাক নির্মাণ প্রতিষ্ঠান মোহাম্মদী গ্রুপের কর্মচারীদের ছেলে-মেয়েদের পড়ার জন্য এই পাঠাগার করা হয়। সেই ছেলের কবরেই চিরনিদ্রায় শায়িত হলেন তিনি।