চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ
Channelionline.nagad-15.03.24

আধুনিকীকরণ বদলে দিতে পারে দেশের পর্যটন শিল্প

দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা, অবকাঠামোগত ও যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন এবং পর্যটক স্পটগুলোর আধুনিকীকরণ ছাড়া দেশের পর্যটন শিল্পের সার্বিক উন্নয়ন সম্ভব নয় বলে মত দিয়েছেন গণমাধ্যম ব্যক্তিত্বরা। পর্যটন বর্ষ ২০১৬ উদযাপনের প্রস্তুতি নিয়ে পর্যটন মন্ত্রণালয়ের পরামর্শ সভায় গণমাধ্যম ব্যক্তিত্বরা তাদের পরামর্শ তুলে ধরেন।

দক্ষিণ এশিয়ার বিখ্যাত বুদ্ধিস্ট ভ্রমণ সার্কিটগুলোর সঙ্গে বাংলাদেশকে সম্পৃক্ত করার লক্ষ্য নিয়ে আগামী ২৭ ও ২৮ অক্টোবর রাজধানিতে শুরু হতে যাচ্ছে দুইদিনের আন্তর্জাতিক সম্মেলন। ইউনাইটেড নেসন্স ওয়ার্ল্ড ট্যুরিজম ওরগানাইজেশন এবং বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের যৌথ উদ্যোগে সেই সম্মেলনের প্রস্তুতি ও করণীয় নিয়ে গণমাধ্যম ব্যক্তিত্বদের সঙ্গে পর্যটন মন্ত্রণালয় ও সংশ্লিষ্টদের পরামর্শ সভা। আলোচনা হয় পর্যটন শিল্প বিকাশের পথে প্রতিবন্ধকতা নিয়ে।

বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রী রাশেদ খান মেনন বলেন, সবচেয়ে বেশি নির্ভর করছি আমরা আমাদের প্রাইভেট সেক্টরের ও মিডিয়ার উপরে। কারন মিডিয়া সার্পোট না থাকলে আমাদের ক্ষেত্রে ট্যুরিজমের উন্নতি করা সম্ভব না।

পর্যটন শিল্পের সার্বিক উন্নয়ন, প্রচার ও প্রসারের লক্ষ্যে সরকার ঘোষিত পর্যটন বর্ষ ২০১৬ উদযাপনে নেয়া পরিকল্পনা নিয়েও আলোচনা হয় পরামর্শ সভায়। গণমাধ্যম ব্যক্তিত্বরা পর্যটন শিল্পের বিকাশে প্রধান প্রতিবন্ধকতা দূর করতে নিজেদের পরামর্শ তুলে ধরেন।

দ্য ডেইলি স্টার সম্পাদক মাহফুজ আনাম বলেন, দেশের প্রথম যে টাচিং পয়েন্ট ঢাকা বিমানবন্দর সেখানে নামলে যে কেউ একটা নেগেটিভ ইমেজ দেখতে পাবে।

সমকাল সম্পাদক গোলাম সারওয়ার বলেন, নাইট ক্লাব বা ক্যাসিনো আমাদের সমাজে গ্রহণ না করলেও কক্সবাজারে একটা বিদেশীদের জন্য আলাদা জোন করা যেখানে এগুলো থাকবে। আমাদের এই বিষয়টিও ভেবে দেখা দরকার।

চ্যানেল আই পরিচালক ও বার্তা প্রধান শাইখ সিরাজ বলেন, কক্সবাজারে একটা আর্ন্তজাতিক বিমান বন্দরের ব্যবস্থা হয়নি। অত্যন্ত দুঃখজনক হলেও সত্য যে সেখানে কোন নাইট ল্যান্ডিংয়ের ব্যবস্থা নাই।

তিনি আরো বলেন, আমি পৃথিবীর অনেক জায়গায় গিয়েছি সেখানে গিয়ে বার বার আমার মনে হয়েছে এত সমৃদ্ধ একটা স্থাপনা এর সংরক্ষন এতো দুর্বল যে, কোথাও গিয়ে কোন অফিসিয়াল গাইড পাবেন না। প্রতিটি বাংলাদেশের মানুষ পর্যটন বিকোশিত হোক এটা চায় তাই এটার একটা দীর্ঘ মেয়াদি পরিকল্পনা হওয়া দরকার বলে আমি মনে করি। প্রাইভেট সেক্টরের ইনিশিয়েটিভ ছাড়া পর্যটনের বিকাশ ঘটবে না।

পর্যটন শিল্প বিকাশের লক্ষ্যে দুইদিনের আন্তর্জাতিক সম্মেলনে দক্ষিণ ও দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার ১৫ টি দেশের পর্যটন মন্ত্রীরা ছাড়াও আন্তর্জাতিক পর্যটন বিশেষজ্ঞ, শিক্ষাবিদ, গবেষক ও বিশ্বমিডিয়ার প্রতিনিধিরা অংশ নেবেন।