সরকারি চাকরিতে প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণীসহ সকল শ্রেণীতে ৫% ‘আদিবাসী কোটা’ বহাল রাখার দাবিতে ছাত্র সমাবেশ করেছে ‘আদিবাসী কোটা সংরক্ষণ পরিষদ’ ৷
শনিবার বিকেল ৫টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্রের (টিএসসি) রাজু ভাস্কর্যে সংগঠনটির পূর্বঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী এই ছাত্র সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
একই দাবিতে আগামীকাল সকাল ১০টায় আদিবাসী সিনিয়র নেতৃবৃন্দ,শিক্ষক ও বুদ্ধিজীবীরা অপরাজেয় বাংলায় সমবেত হবেন এবং সেখান থেকে সচিবালয় অভিমুখে পদযাত্রা করবেন।
ক্ষুদ্র-নৃগোষ্ঠী থেকে আসা শিক্ষার্থীদের সংগঠন আদিবাসী ফোরাম, আদিবাসী ছাত্র পরিষদ, জাতীয় আদিবাসী পরিষদ, গারো স্টুডেন্ট ফেডারেশন, গারো ছাত্র সংগঠন, গারো স্টুডেন্ট ইউনিয়ন, বাংলাদেশ হাজং ছাত্র সংগঠন, বাংলাদেশ মারমা স্টুডেন্ট কাউন্সিল, ওরাও ছাত্র সংগঠন, ত্রিপুরা স্টুডেন্ট ফোরাম, আদিবাসী ছাত্র-সংগ্রাম পরিষদ ও পার্বত্য চট্টগ্রাম পাহাড়ী ছাত্র পরিষদ কর্মসূচিতে সংহতি জানায়।
ছাত্র সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন ‘আদিবাসী কোটা সংরক্ষণ পরিষদে’র সমন্বয়ক এবং ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী শিক্ষার্থীদের ১৮টি সংগঠনের জোট ‘আদিবাসী ছাত্র সংগ্রাম পরিষদে’র সভাপতি উইলিয়াম নকরেক৷ সভাপতির বক্তব্যে তিনি বলেন, ‘আমরা আগেও বলেছি, এখনও বলছি, আদিবাসীদের মাঝে এখনও এমন পরিবর্তন আসেনি যে এখনই চাকরিক্ষেত্রে তাদের জন্য বরাদ্দকৃত ৫% কোটা তুলে দিতে হবে৷ কোটা সংস্কার হতে পারে কিন্তু কোটা একদমই তুলে দেওয়া আদিবাসী ও অনগ্রসর জনগণের জন্য কল্যাণকর হবে না৷ তাই আমরা অব্যাহতভাবে আদিবাসীদের কোটা বহাল রাখার দাবি জানিয়ে আসছি৷’
অন্য বক্তারা বলেন, ‘সংবিধানের ২৯ অনুচ্ছেদে অনগ্রসর জনগোষ্ঠীও যাতে রাষ্ট্রের প্রশাসনে প্রতিনিধিত্ব লাভ করতে পারেন, তার জন্য বিশেষ বিধান প্রণয়নের কথা বলা হয়েছে৷ ফলে কোটা আমাদের জন্য কোনো করুণা নয়, বরং অধিকার৷ আগামীকালের পদযাত্রা তাই একই সাথে কোটা রক্ষা ও সংবিধান রক্ষার পদযাত্রা।
‘সমাবেশে অন্যান্যের মধ্যে আদিবাসী ছাত্র পরিষদের সভাপতি নকুল পাহান, বাংলাদেশ গারো ছাত্র সংগঠনের সভাপতি অলিক মৃ, আদিবাসী ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রিবেং দেওয়ান, জাতীয় আদিবাসী পরিষদের সদস্য বিভূতিভূষণ মাহাতো, আদিবাসী ফোরামের সদস্য সোহেল হাজং প্রমুখ বক্তব্য দেন।