উত্তর প্রদেশে কলেজের পাশে, দোকান বা অন্যান্য প্রকাশ্য স্থানে যেসব যুবকরা মেয়েদের হয়রানির উদ্দেশ্যে দাঁড়িয়ে থাকে, তাদের বিরুদ্ধে ‘অ্যান্টি-রোমিও স্কোয়াড’ মাঠে নেমেছে । নতুন মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ সম্প্রতি এক আদেশে পুলিশকে হয়রানির উদ্দেশ্যে দাড়িয়ে থাকা যুবকদের বিরুদ্ধে ‘অ্যান্টি-রোমিও স্কোয়াড’ গঠনের কথা বলেন।
মঙ্গলবার এ আদেশের পরপরই লখনৌ থেকে তিন ব্যক্তিকে আটক করে পুলিশ। ঝাঁসিতে আরও কয়েকজন কিশোরকে কান ধরে উঠবস করতে বাধ্য করা হয়। অন্যদিকে মিরাটে কয়েকজন তরুণকে গার্লস স্কুল ও কলেজের বাইরে জড়ো করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।
উত্তর প্রদেশের পুলিশের প্রধান জাভেদ আহমেদ বলেন, এই উদ্যোগের উদ্দেশ্য হলো পাবলিক স্পেসগুলোকে মেয়েদের জন্য নিরাপদ করা। সোমবার যোগী আদিত্যনাথ তাকেই আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতির জন্য একটি উপযুক্ত পরিকল্পনা বের করতে বলেন, যেটা ছিল বিজেপির নির্বাচনের প্রতিশ্রুতি। উত্তর প্রদেশের নির্বাচনে আদিত্যনাথ ৪০৩ আসনের মধ্যে ৩১৫ আসন পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন।
পুলিশের পক্ষ থেকে বলা হয়, পাবলিক প্লেস, বিশেষ করে শপিং মল, কলেজ এবং কোচিং সেন্টারগুলোর সামনে কমবয়সী মেয়েদের নিরাপদ রাখতেই এই ব্যবস্থা। তবে এই ব্যবস্থা কোন পর্যায়ে গেলে তা পুলিশের দ্বারা হয়রানি বলে বিবেচিত হবে, এটা স্পষ্ট করে বলা হয়নি।
‘অ্যান্টি রোমিও স্কোয়াড’ ছিল বিজেপির উত্তর প্রদেশের নির্বাচনী ইশতেহারের অন্যতম প্রধান বিষয়। এটি নিয়ে সে সময় বিতর্কও হয়েছে। একে ‘লাভ জিহাদ’ নামক একটি বিষয়ের বিরুদ্ধে যোগী আদিত্যনাথ এবং বিজেপির অন্যান্য নেতাদের প্রচারণার সঙ্গেও মিলিয়ে ফেলা হয়েছিল। মুসলিম পুরুষের হিন্দু মহিলাকে বিয়ে করাকে ‘লাভ জিহাদ’ নামে সংজ্ঞায়িত করেছেন বিজেপি নেতারা।