রংপুরে করা মানহানির মামলায় গ্রেপ্তার সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা ব্যারিস্টার মইনুল হোসেনকে আদালতে নেয়া হয়েছে। মঙ্গলবার দুপুরে তাকে আদালতে নেয়া হয়।
এর আগে সোমবার রাতে মইনুলকে গ্রেপ্তার করে রাজধানীর মিন্টো রোডে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) কার্যালয়ে নেয়া হয়।
রাতেই ব্যারিস্টার মইনুলকে ডিবি কার্যালয়ে নেয়ার খবর শোনার পরই সেখানে ছুটে আসেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান, ব্যারিস্টার মইনুলের আইনজীবী ও মামা অ্যাডভোকেট খন্দকার মাহবুব হোসেন।
তবে অনুমতি না থাকায় ভাগ্নের সঙ্গে দেখা পাননি তিনি। পরে রাত পৌনে ১১টার দিকে তিনি ডিবি কার্যালয়ের সামনে অবস্থান নেন।
পরে ফিরে যাওয়ার সময় মাহবুব হোসেন সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমরা মইনুলের গ্রেপ্তারের সংবাদ পেয়ে দেখা করতে আসলাম, কিন্তু আমাদের ডিবি কার্যালয়ে ঢুকতে দেয়া হয়নি। ঊর্ধ্বতনদের সাথে কথাও বলতে দেয়া হয়নি।’
সোমবার রাত পৌণে দশটার দিকে উত্তরাস্থ জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নেতা আ স ম আবদুর রবের বাসায় অভিযান চালিয়ে মইনুল হোসেনকে গ্রেপ্তার করে ডিবি (উত্তর) একটি দল।
এরআগে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীরা ওই বাসাটিকে ঘিরে ফেলে।
গত ১৬ অক্টোবর মধ্যরাতে একাত্তর টেলিভিশনের নিয়মিত আয়োজন ‘একাত্তর জার্নাল’-এ রাজনৈতিক সংবাদের বিশ্লেষণ চলছিল। অনুষ্ঠান পরিচালনায় ছিলেন উপস্থাপিকা মিথিলা ফারজানা। এতে অতিথি ছিলেন মাসুদা ভাট্টি ও সাখাওয়াত হোসেন সায়ন্ত। আলোচনায় স্টুডিওর বাইরে থেকে যুক্ত হন ব্যারিস্টার মইনুল হোসেন।
আলোচনার ফাঁকে মাসুদা ভাট্টির প্রশ্ন ছিল, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একটি আলোচনা চলছে, ব্যারিস্টার মইনুল হোসেন ঐক্যফ্রন্টে জামায়াতের প্রতিনিধিত্ব করছেন কিনা?
এর জবাবে ব্যারিস্টার মইনুল বলেন, ‘আপনার দুঃসাহসের জন্য আপনাকে ধন্যবাদ দিচ্ছি। আপনি চরিত্রহীন বলে আমি মনে করতে চাই।’
এরপর থেকেই সোশ্যাল মিডিয়াসহ সব জায়গায় তীব্র সমালোচনার মুখে পড়েন ব্যারিস্টার মইনুল হোসেন। তার বিরুদ্ধে দেশের বিভিন্ন স্থানে কয়েকটি মামলাও হয়।
দেশের অর্ধশতাধিক সম্পাদক ও সিনিয়র সাংবাদিক মইনুল হোসেনকে প্রকাশ্যে ক্ষমা প্রার্থনার দাবি জানিয়ে বিবৃতি দেন।