আজ বৃহস্পতিবার আলিপুর আদালতে গোপন জবানবন্দী দেওয়ার জন্য আবেদন জানিয়েছেন ভারতের বাংলা সিরিয়াল ও চলচ্চিত্রের জনপ্রিয় তারকা বিক্রম চট্টোপাধ্যায়ের চার বন্ধু। জানা গেছে, স্থানীয় সময় বিকাল সাড়ে চারটা থেকে আদালত তাদের জবানবন্দী গ্রহণ করছেন।
এর আগে আজ সকালে রুবি হাসপাতালের চিকিত্সদের কথা রেকর্ড করেছে টালিগঞ্জ পুলিশ। সেদিন হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পর কেমন অবস্থা ছিল বিক্রম আর সনিকার, কেন বিক্রমকে দেরি করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়? পুলিশ আজ এসব প্রশ্নের উত্তর খুঁজেছে।
এদিকে গতকাল বুধবার বিক্রমের বন্ধু বাংলা সিরিয়ালের আরেক জনপ্রিয় তারকা অনিন্দ্য চট্টোপাধ্যায় সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, ‘সেদিন রাত সোয়া ২টা নাগাদ আমার দিকে হাত তুলে বাই বলেছিল সনিকা। সঙ্গে বিক্রমও ছিল। আচার্য জগদীশচন্দ্র বসু সড়কের পানশালায় ওটাই যে সোনিকার সঙ্গে আমার শেষ দেখা, তা ভাবতেই পারিনি। সেদিন বিক্রমকে আমি মদ খেতে দেখেছি। কিন্তু ওকে দেখে অস্বাভাবিক মনে হয়নি। হি ওয়াজ ওকে। আমি চাই না এভাবে অন্য বন্ধুরা হারিয়ে যাক। বিক্রম-সনিকার এই ঘটনা থেকে আমাদের শিক্ষা নেওয়া উচিত। আমাদের এই জেনারেশনের আর একটু সচেতন হওয়া উচিত। যা খুশি তাই করা যায় না।’
গত মঙ্গলবার ও বুধবার মিলিয়ে ৭ ঘণ্টারও বেশি সময় বিক্রমকে জেরা করেছে পুলিশ। বিক্রম স্বীকার করেছেন, দুর্ঘটনার আগে তিনি মদ খেয়েছিলেন। কিন্তু বেসামাল হয়ে যাননি।
২৯ এপ্রিল ভারতের বাংলা সিরিয়ালের অন্যতম জনপ্রিয় নায়ক বিক্রম চট্টোপাধ্যায় গাড়ি দুর্ঘটনায় মারাত্মক আহত হন। গাড়িতে এ সময় তার সঙ্গে ছিলেন জনপ্রিয় মডেল সনিকা সিংহ চৌহান। ঘটনাস্থলেই মারা যান তিনি। শনিবার ভোর চারটা নাগাদ দক্ষিণ কলকাতায় রাসবিহারী মোড়ের কাছে লেক মলের সামনে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শীদের কাছ থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, গড়িয়াহাট থেকে রাসবিহারীর দিকে সাদা রঙের একটি গাড়ি ছুটে আসছিল। তখন চালকের আসনে ছিলেন বিক্রম। তাঁর পাশে বসেছিলেন সনিকা। লেক মলের সামনে হঠাৎই নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফুটপাতে উঠে পড়ে গাড়িটি। এরপর গাড়িটি একটি দোকানে ধাক্কা মেরে ছিটকে গিয়ে আবার ধাক্কা মারে ডিভাইডারে। দুমড়ে মুচড়ে যায় গাড়িটি।
এরপর আশেপাশের লোকজন তাদের উদ্ধার করে বাইপাসের পাশে একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যায়। চিকিৎসকরা জানান, মাথা এবং দেহের বিভিন্ন জায়গা থেকে মারাত্মক রক্তক্ষরণে সনিকা মারা যান। বিক্রমকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।