মাদককাণ্ডে গ্রেপ্তার আরিয়ান। বৃহস্পতিবার তাকে ১৪ দিনের জেল হেফাজত দিয়েছে আদালত। তবে শাহরুখ নিযুক্ত আইনজীবী সতীশ মানশিন্ডে আরিয়ানের অন্তর্বর্তী জামিনের আবেদন করেন। শুক্রবার জামিন শুনানির সময় আদালতে ক্ষুব্দ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন আরিয়ান।
ষড়যন্ত্রের শিকার হয়েছেন, এমন ইঙ্গিত দিয়ে আরিয়ান আদালতে সবার সামনে বলেন, ‘পার্টিতে ১৩০০ লোক ছিল। অথচ বেছে বেছে তাদের মতো ১৭ জনকে কেন গ্রেপ্তার করা হলো?’
এনসিবি তার কাছে কোনো মাদক পায়নি, এদিন এমন দাবিও করেন আরিয়ান। তার দাবি, প্রমোদতরীতে ওঠার সময় তার ব্যাগ পরীক্ষা করা হয়েছিল। সে সময় তার কাছ থেকে কোনো মাদক পায়নি মাদক নিয়ন্ত্রণ সংস্থার কর্তারা।
এদিন আরিয়ানের আইনজীবী দাবি করেন, তার মক্কেল এবং প্রতীকের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাট খতিয়ে দেখলেই সত্যিটা বেরিয়ে আসবে। আরিয়ানের সঙ্গী আরবাজ শেঠ মার্চেন্টের সঙ্গেও পরিচয় রয়েছে প্রতীকের।
যদিও এনসিবির কর্তারা প্রতীককে গ্রেপ্তারের পর থেকেই দাবি করে আসছেন যে, আরিয়ান এবং আরবাজ মাদক সংগ্রহ করতেন প্রতীকের কাছ থেকে। তাদের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাট থেকেও নাকি উঠে এসেছে এমনই তথ্য।
দুই পক্ষের এসব যুক্তি তর্কের পরই আদালত সিদ্ধান্ত নিবে, আরিয়ান ও তার বন্ধুরা জামিন পাবেন কিনা! নাকি তাকে পূর্ব নির্ধারিত ১৪ দিনের হাজত বাসই করতে হবে!