১০ সেপ্টেম্বর বিশ্ব আত্মহত্যা প্রতিরোধ দিবস। বিশ্বের অন্যান্য দেশের মত বাংলাদেশেও নানা কর্মসূচির মধ্যে দিয়ে দিবসটি পালিত হচ্ছে। এবছর দিবসটির মূল প্রতিপাদ্য হচ্ছে- ‘আত্মহত্যা প্রতিরোধে একযোগে কাজ’। জাতীয় মানসিক সংস্থা এবং পুলিশ সদর দপ্তরের পরিসংখ্যান থেকে জানা যায় গত বছর দেশে আত্মহত্যা করে ১১ হাজার ৯৫ জন, দিনে যা ৩০ জনেরও বেশি।
পরিসংখ্যান বলছে, ২০১৬ সালে ১০ হাজার ৬০০ জন, ২০১৫ সালে সাড়ে ১০ হাজার জন, ২০১৪ সালে ১০ হাজার ২০০ জন, ২০১৩ সালে ১০ হাজার ১২৯ জন, ২০১২ সলে ১০ হাজার ১০৮ জন, ২০১১ সালে ৯ হাজার ৬৪২ জন, ২০১০ সালে ৯ হাজার ৯৬৫ জন আত্মহত্যা করেছেন।
এর মধ্যে পুরুষের চেয়ে নারীই বেশি। বেশিরভাগ নারী আত্মহত্যা করেছেন গলায় দড়ি দিয়ে, পুরুষেরা কীটনাশক খেয়ে।
আত্মহত্যাকারীদের ৯৫ শতাংশই মানসিক রোগে ভোগেন। সঠিক সময়ে চিকিৎসা পেলে এ ধরনের ঝুঁকি থেকে বাঁচানো সম্ভব।
আত্মহত্যা দুই ধরনের হয়ে থাকে আবেগতাড়িত ও পরিকল্পিত। তবে দেশে আবেগতাড়িত আত্মহত্যার পরিমাণ বেশি।
বাংলাদেশে নারীদের ওপর শারীরিক, যৌন ও মানসিক নির্যাতন এবং ইভটিজিংয়ের ঘটনা বাড়ায় অনেকে পরিস্থিতি সামাল দিতে না পেরে আত্মহত্যা করছেন। অবিবাহিত নারীদের ক্ষেত্রে বিয়ের আগে যৌন সম্পর্ক স্থাপনে বাধ্য হওয়া অথবা স্বেচ্ছায় যৌন সম্পর্ক স্থাপনের পর গর্ভধারণের কারণে অনেকে আত্মহত্যা করেন।