আয়ারল্যান্ডের মাটিতে ত্রিদেশীয় সিরিজ জয় পাল্টে দিয়েছে ক্রিকেটারদের শারিরীক ভাষা। আত্মবিশ্বাসে ভরপুর এক দল এখন বাংলাদেশ। ওয়েস্ট ইন্ডিজকে তিনদফা ও আয়ারল্যান্ডকে একবার হারানোর সুখস্মৃতি নিয়েই মাশরাফী বিন মোর্ত্তজার দল রোববার কার্ডিফে নামছে বিশ্বকাপের প্রথম অফিসিয়াল প্রস্তুতি ম্যাচ খেলতে। প্রতিপক্ষ সম্প্রতি ধুঁকতে থাকা পাকিস্তান।
কার্ডিফের সোফিয়া গার্ডেনে বাংলাদেশ সময় বিকাল সাড়ে ৩টায় শুরু হবে ম্যাচটি। সরাসরি সম্প্রচার করবে স্টার স্পোর্টস-১।
ম্যাচের ভেন্যুতে শনিবার প্রথমবার অনুশীলন করেছে বাংলাদেশ। দলের প্রতিনিধি হয়ে মেহেদী হাসান মিরাজ বলেন, ‘ম্যাচ জিতলে অনেক আত্মবিশ্বাস পাওয়া যায়। প্রস্তুতি ম্যাচ এটা আমাদের মাথায় নেই, জয় নিয়েই আমাদের ভাবনা। একটা একটা করে ম্যাচ জিততে হবে, এটিই আমাদের মাথায় আছে।’
‘বিশ্বকাপের অল্পসময় বাকি আছে, ৫ দিন। প্রস্তুতি খুব গুরুত্বপূর্ণ। কন্ডিশনটা বুঝতে হয়ত দুই ম্যাচ চলে যায়। আমরা মানিয়ে নিতে পারলে বিশ্বকপে খেলা সহজ হয়ে যাবে। চেষ্টা করবো নিজেদের শতভাগ দেয়ার জন্য এবং যে ঘাটতি আছে সেখানে উন্নতি করার। বিশ্বকাপে হাইভোল্টেজ ম্যাচ চাপ থাকবে, এখানে যদি শতভাগ দিতে পারি তাহলে (বিশ্বকাপ) ওখানে সহজ হয়ে যাবে।’ -বলেন দলের তরুণ এ অলরাউন্ডার।
বিশ্বকাপের স্বাগতিক দেশ ইংল্যান্ডের কাছে পাঁচ ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজে হোয়াইটওয়াশ (৪-০) হওয়ার পর শুক্রবার আফগানিস্তানের কাছে প্রস্তুতি ম্যাচেও হেরেছে সরফরাজ আহমেদের দল।
কার্ডিফের সঙ্গে জড়িয়ে টাইগারদের মধুর সব স্মৃতি। ২০০৫ সালের ১৮ জুন, এই মাঠেই তখনকার পরাক্রমশালী অস্ট্রেলিয়াকে হারিয়ে বিশ্বকে কাঁপিয়ে দিয়েছিল বাংলাদেশ। আশরাফুলের সেঞ্চুরির দ্যুতির কাছে নতজানু হয়েছিল রিকি পন্টিংয়ের দল।
২০১৭ সালের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে নিউজিল্যান্ডকে হারিয়ে বৈশ্বিক আসরে প্রথম সেমিফাইনালে নাম লেখায় বাংলাদেশ। এই মাঠে একমাত্র দল হিসেবে বাংলাদেশ অপরাজিত।
সেই ঐতিহাসিক ভেন্যুতেই বাংলাদেশের বিশ্বকাপ অভিযানের ব্যাট-বলের প্রাথমিক অধ্যায় শুরু হচ্ছে রোববার। টাইগারদের দ্বিতীয় ও শেষ প্রস্তুতি ম্যাচটিও এখানে। মঙ্গলবার প্রতিপক্ষ ভারত।
প্রস্তুতি ম্যাচ হলেও ত্রিদেশীয় সিরিজে টাইগারদের ধারাবাহিক জয়ের যে অভ্যাস তৈরি হয়েছে, সেটি ধরে রাখার চ্যালেঞ্জ শুরু হবে এখান থেকেই। ২ জুন ওভালে সাউথ আফ্রিকার বিপক্ষে বিশ্বকাপের ম্যাচে নামার আগে আদর্শ প্রস্তুতিই যোগান দিতে পারে নতুন ইতিহাস রচনার পথে থাকা সঙ্ঘবদ্ধ একটি দলকে অদম্য হয়ে ওঠার শক্তি।