নানা নিষেধাজ্ঞা আর কঠোর নিরাপত্তার মধ্যেও আনন্দ-উৎসবে ইংরেজি নববর্ষ উদযাপন করেছে রাজধানীবাসী। আতশবাজি আর ফানুসের আলোয় নববর্ষ-২০২০ বরণ করে নেয় নগরবাসী।
সন্ধ্যার পর থেকেই নতুন বছরকে বরণ করতে নগরীর বিভিন্ন স্থানে ছিল মানুষের পদচারণা। মধ্য রাতে আবার অনেকেই পরিবারের সদস্যদের নিয়ে ঘুরতে বের হন। টিএসসিতে আনন্দ উল্লাসে মেতে ওঠেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। উৎসবমুখর হয়ে উঠে পুরো বিশ্ববিদ্যালয় এলাকা।
নাশকতার কোনো হুমকি না থাকলেও থার্টি ফার্স্ট নাইট উদযাপনে রাজধানীজুড়ে নেয়া হয় কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা। নগরবাসীর নিরাপত্তায় চেকপোস্ট বসিয়ে যানবাহনে তল্লাশি চালানো হয়। সেই সঙ্গে ছিল ডগ স্কোয়াড।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও কূটনৈতিক এলাকাসহ গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে নিয়ন্ত্রণ করা হয় যান চলাচল। নববর্ষ উপলক্ষে পাঁচতারা হোটেলসহ বিভিন্ন ভবন সাজানো হয় বর্ণিল সাজে।
ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার মোহা. শফিকুল ইসলাম এবং র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব) মহাপরিচালক বেনজীর আহমেদ শান্তিপূর্ণভাবে নতুন বছর উদযাপিত হওয়ায় সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন।
বুধবার দিবাগত রাতে ইংরেজি নতুন বছরের প্রথম প্রহরে রাজধানীর গুলশান-২ চত্বরে থার্টি ফার্স্টের নিরাপত্তা পর্যবেক্ষণ নিয়ে কথা বলেন ডিএমপি কমিশনার ও র্যাব প্রধান।
নতুন বছরে সন্ত্রাস, মাদক ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে চলমান অভিযান অব্যাহত রাখার প্রত্যয় জানান তারা।
ডিএমপি কমিশনার
ডিএমপি কমিশনার বলেন, ‘সারা শহরে কোনো বিশৃঙ্খলতা ছিল না। নগরবাসী সুন্দরভাবে নতুন বছর উদযাপন করেছে। শহরে নুন্যতম কোনো বিশৃঙ্খল পরিবেশ সৃষ্টি হয়নি।’
র্যাব প্রধান
থার্টি ফার্স্টের নিরাপত্তা নিয়ে র্যাব প্রধান বেনজীর আহমেদ বলেন, ‘নতুন বছরের উৎসব যাতে নিরাপদে ও সুশৃঙ্খল হয়, সে ব্যাপারে আমরা কাজ করছি। তবে অতিরিক্ত নিরাপত্তার কারণে উৎসবে কোনো বিঘ্ন ঘটেনি। সেটা আমাদের উদ্দেশ্যও নয়।’