এবারের সাউথ আফ্রিকা সফরে অবশেষে প্রথম জয় পেল ভারত। শনিবার সিরিজের তৃতীয় টেস্টের চতুর্থ দিন প্রোটিয়াদের ৬৩ হারিয়ে দেয় সফরকারীরা। ২৪১ রানের টার্গেট তাড়া করতে নেমে দ্বিতীয় ইনিংসে ১৭৭ রানে অলআউট হয়ে যায় স্বাগতিকরা। প্রথম দুই টেস্ট জিতে তিন ম্যাচের সিরিজ ২-১ ব্যবধানে শেষ করল প্রোটিয়ারা।
তবে এই জয় ভারতীয়দের জন্য অন্যরকম। সিরিজে পিছিয়ে থাকার পর ওয়ান্ডারার্সের পিচ হয়ে দাঁড়িয়েছিল এক আতঙ্কের নাম। ভারতকে হোয়াইটওয়াশ করার টার্গেট নিয়েই এমন পিচ বানিয়েছিল স্বাগতিকরা। উল্টো ভারত যে বিপদে পড়েছে, তার চেয়ে বেশি বিপদে পড়ে স্বাগতিকরা নিজেই। আর তাতেই আতঙ্কের পিচে ‘অপ্রত্যাশিত’ এক জয় পেয়ে যায় বিরাট কোহলির দল।
দিনের শুরুটা ভাল করলেও, তৃতীয় সেশনে মোহাম্মদ সামি, জাসপ্রীত বুমরাহ, ভুবনেশ্বর কুমারদের দাপটে ফ্যাফ ডু প্লেসিসদের ব্যাটিং লাইনআপে ধস নামে।
সামি পাঁচ উইকেট নেন। জাসপ্রীত বুমরাহ ও ইশান্ত শর্মা দু’টি করে এবং ভুবনেশ্বর কুমার একটি উইকেট নিয়েছেন।
ফলে সহজ জয় পায় ভারত। ডিন এলগার (৮৬) শেষপর্যন্ত লড়াই করেন। তিনি অপরাজিত থাকেন।
শুক্রবার খারাপ পিচের কারণ দেখিয়ে নির্ধারিত সময়ের আগেই খেলা শেষ করে দেন আম্পায়াররা। এরপর বিরাট কোহলি ও ডু প্লেসিসের সঙ্গে আলোচনায় বসেন দুই আম্পায়ার ও ম্যাচ রেফারি। দীর্ঘ আলোচনার পর জানানো হয়, চতুর্থ দিন খেলা শুরু হবে।
রাতে বৃষ্টির জন্য আউটফিল্ড ভেজা থাকায় এদিন অবশ্য আধা ঘণ্টা দেরিতে খেলা শুরু হয়। তবে বোলারদের সহায়ক পরিবেশ পেয়েও প্রথম সেশনে কোন ফায়দা তুলতে পারেননি ভারতীয়রা। সেই সময় মনে হচ্ছিল, সাউথ আফ্রিকা সহজেই জিতে যাবে। তবে তৃতীয় সেশনে ম্যাচের রং বদলে যায়।
বল হাতে বিধ্বংসী মেজাজে দেখা দেন পেসার সামি। আগের দিন এইডেন মার্করামকে (৪) ফিরিয়েছিলেন। এদিন ফেরালেন ভারনন ফিনল্যান্ডার (১০), আন্ডিলে ফাঙ্গিয়াসো (০), মরনে মরকেল (০) ও লুনঙ্গি এনগিদিকে (৪)।
এলগারের সঙ্গে জুটিতে ১১৯ রান যোগ করা হাশিম আমলাকে (৫২) ফেরান ইশান্ত শর্মা। তিনি ডু প্লেসিসকেও (২) আউট করেন। বুমরাহ ফেরান এবি ডিভিলিয়ার্স (৬) ও কুইন্টন ডি কককে (০)। ভুবনেশ্বর ফেরান কাগিসো রাবাদাকে (০)।