উদ্ভাবনের দক্ষতায় কিশোর বয়সেই মেধার সাক্ষর রাখা আহমেদ মোহাম্মদ পুলিশের আটকাদেশ থেকে মুক্তি পেয়েছেন, মুক্তি পেয়ে ইউটিউবে ভিডিও শেয়ার করে নিজের প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন।
যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাস অঙ্গরাজ্যের আর্ভিংয়ে অবস্থিত ম্যাকআর্থার হাইস্কুলের ১৪ বছর বয়সী ওই শিক্ষার্থীকে গ্রেফতারের পর থেকেই তীব্র সমালোচনার সৃষ্টি হয়েছিলো। যু্ক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টের বাসভবন হোয়াইট হাউসেও আমন্ত্রণ পেয়েছে বালকটি।
ইউটিউবে প্রচারিত ভিডিওটিতে ১৪ বছরের বালক আহমেদ বলেন, নতুন কিছু তৈরি করা আমার শখ। এরকম অনেক কাজই আমি করেছি। আমি একটি ঘড়ি তৈরি করেছিলাম এবং যা বোমা সন্দেহ করে আমাকে আটক করা হয়।
জিজ্ঞাসাবাদের অভিজ্ঞতার কথা স্মরণ করে আহমেদ বলেন, স্কুলের প্রিন্সিপালের অফিসের একজন কর্মকর্তা আমাকে এমন একটি কক্ষে নিয়ে যান আরো পাচজন কর্মকর্তা ছিলো। তারা আমাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে। তারা আমার উদ্ভাবনের বিষয়ে জানতে চায় এবং আমার ঘড়িটি নিয়ে যায়।
“এরপর আমাকে একটি কিশোর আটক কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে আমাকে তল্লাশী চালানো হয়, আমার আঙ্গুলের ছাপ নেয়া হয়। আমার বাবা মা আসার আগ পর্যন্ত আমাকে বারবার জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। এর পরে আমি পুলিশ স্টেশন ত্যাগ করে বাসায় চলে আসি এবং আমার বাবা মাকে পুরো ঘটনাটি বলি।”
নিজের উদ্ভাবনকৃত ঘড়িটি সম্পর্কে মেধাবী এই বালক বলেন, আমার ঘড়িটি ছিলো একটি ডিজিটাল ঘড়ি। ঘড়িটি চারটি লাইনবিশিষ্ট। এর অংশ ঘন্টার সংখ্যার জন্য এবং অপর অংশ মিনিটের অংশের জন্য।
ঘড়িটিকে বোমা বলে সন্দেহ করার পেছনে ঘড়িটির আকৃতিগত বৈশিষ্ট তুলে ধরেন আহমেদ। বলেন, “একটি বক্সের ভেতর ঘড়িটি স্থাপন করা হয়েছিলো। বক্সটি বন্ধ করার জন্য একটি তারও ব্যবহার করা হয়েছিলো। আমার ঘড়িটি সুটকেস সদৃশ্য ছিলো যা তারা বোমা বলে সন্দেহ করে।”
তার কাছে বোমা আছে এরকম কিছু বলেন নাই বলেও জানায় আহমেদ।
মাত্রই ১৪ বছর বয়সী বালকটি ঘরে বানানো তৈরি করা একটি ঘড়ি স্কুলে শিক্ষককে দেখানোর উদ্দেশ্যে নিয়ে গেলে বোমা সন্দেহে তাকে আটক এবং হেনস্থার শিকার হতে হয়। ছেলেটির মুসলিম নাম দেখেই পুলিশ সন্দেহ করেছিলো মর্মে অভিযোগ উঠেছে। টেক্সাস পুলিশ স্কুলের অভিযোগের ভিত্তিতে আটক করলেও, তথ্যপ্রমাণ বা অভিযোগ ভিত্তিহীন হওয়ায় তাকে মুক্তি দেয়।
ইউটিউবে আহমেদ মোহাম্মদের বর্ণনা: