হাঙ্গেরি থেকে রওয়ানা হওয়া হাজারো অভিবাসীকে প্রবেশাধিকার দিতে রাজি হয়েছে অস্ট্রিয়া ও জার্মানি।
অস্ট্রিয়ার চ্যান্সেলর ওয়ার্নার ফেম্যান জানান, আরো বড় সঙ্কট এড়াতেই দু’ দেশ প্রবেশাধিকার দিতে সম্মত হয়েছে। অস্ট্রিয়া সীমান্তে পৌঁছাতে অভিবাসীদের জন্য বাসের ব্যবস্থা করেছে হাঙ্গেরি।
অভিবাসী সঙ্কট এখন আর শুধু হাঙ্গেরি, অস্ট্রিয়া বা জার্মানির নয় – বরং সমগ্র ইউরোপের।
দেরিতে হলেও অবেশেষে অভিবাসন-প্রত্যাশী এসব মানুষের বিষয়ে সুস্পষ্ট সিদ্ধান্ত এসেছে। অভিবাসীদের গ্রহণে রাজি হয়েছে জার্মানি। আর জার্মানি পৌঁছাতে তাদের সীমান্ত খুলে দেয়ার ঘোষণা দিয়েছে অস্ট্রিয়া।
জার্মানি ও অস্ট্রিয়ার ঘোষণা আসার আগে, শুক্রবার অভিবাসীদের সাথে পুলিশের একাধিকবার সংঘর্ষ হয়। বুদাপেস্ট রেলস্টেশনে পুলিশের সাথে সংঘর্ষের পর অভিবাসীদের একটি দল পায়ে হেঁটে অস্ট্রিয়া সীমান্তে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন।
গভীর রাতে প্রধানমন্ত্রী ভিক্টর ওরবানের অফিস থেকে ঘোষণা আসে, ওই অভিবাসীদের জন্য নির্দিষ্ট বাসের ব্যবস্থা করা হবে।
মহাসড়ক দিয়ে হেঁটে গেলে যোগাযোগ ব্যবস্থা ব্যহত হতে পারে। এমন আশঙ্কায় যারা বুদাপেস্ট রেলস্টেশনে থেকে গেছেন তাদের জন্যও বাসের ব্যবস্থার ঘোষণা দেয়া হয়।
এর আগে একটি ট্রেন কিছু অভিবাসীকে নিয়ে রওয়ানা হলেও ট্রেনটি বিক্সকে শহরের কাছে এলে পুলিশ বাধা দেয়। পরে অনেক অভিবাসী পুলিশী প্রহরা ভেঙে বেরিয়ে যান।
সার্বিয়া সীমান্তের কাছে একটি শরণার্থী শিবির থেকে প্রহরা ভেঙে পালিয়ে গেছেন আরো কয়েকশ’ অভিবাসী।
জার্মানি ও অস্ট্রিয়ারর সবুজ সংকেত পেলেও হাজারো অভিবাসীর জন্য দীর্ঘ এ যাত্রা সহজ হবে না।
ক্লান্তির সাথে যোগ হয়েছে খাবার ও পানির সঙ্কটও। তবে একবার জার্মানিতে ঢুকতে পারলে সব সঙ্কট কাটিয়ে ওঠার আসা অভিবাসী প্রত্যাশীদের।