যুক্তরাষ্ট্রের ৪৬তম প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নিয়ে জো বাইডেন বলেছেন: আজ যুক্তরাষ্ট্রের দিন, আজ গণতন্ত্রের দিন। এ দিন ইতিহাস এবং আশার দিন।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ শেষে জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেন জো বাইডেন।
এসময় তিনি যুক্তরাষ্ট্রেকে ঐক্যবদ্ধ করতে প্রত্যেক আমেরিকানকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান। বলেন: আমি প্রত্যেক মার্কিনীর প্রেসিডেন্ট হতে চাই। গণতন্ত্রের সব কিছুই ঐক্যের মাধ্যমে অর্জন করা সম্ভব।
বাইডেন বলেছেন: তিনি প্রতিটি প্রতিবন্ধকতা মোকাবেলা ও পরাজিত করে যুক্তরাষ্ট্রকে এগিয়ে নিয়ে যাবেন।
তিনি তার প্রেসিডেন্সির সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জগুলি তুলে ধরে বলেন: এক ধ্বংসাত্মক মহামারি, ব্যাপক কর্মক্ষেত্রের ক্ষতি, পরিবেশের হুমকি, জাতিগত ন্যায়বিচার এবং রাজনৈতিক উগ্রবাদের মুখোমুখি। খুব শিগগিরই তিনি এসব সমস্যা সমাধানের প্রস্তাব দেবেন।
তবে প্রথম ভাষণে তিনি ঐক্যের ওপর জোর দিয়ে বলেন: ঐক্য ছাড়া কোনো শান্তি নেই।
এর আগে জো বাইডেনকে শপথ পড়ান প্রধান বিচারপতি জন জি রবার্টস। তার আগে শপথ নেন দেশটির প্রথম নারী ভাইস-প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিস। কমলা হ্যারিসকে শপথ পড়ান সুপ্রীম কোর্টের বিচারপতি সোনিয়া সোটোমেয়র।
কঠোর নিরাপত্তার মধ্যদিয়ে দেশটির ক্যাপিটল হাউজের সামনে ঐতিহাসিক গেটাসবার্গে শপথ গ্রহণ করেন তারা। এরপর জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেন নতুন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।
গত নভেম্বরে নির্বাচনের পর থেকে বিদায়ী প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প শিবির নানা ঘাত-প্রতিঘাত মোকাবেলা করে অবশেষে আনুষ্ঠানিকভাবে বিশ্বের সবচেয়ে ক্ষমতাশালী দেশের প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব গ্রহণ করলেন জো বাইডেন।
তবে দেশটির প্রায় শতবছরের ইতিহাসে ঐতিহ্য ভেঙ্গে নতুন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ও ফার্স্ট লেডি জিল বাইডেনকে হোয়াইট হাউসের অর্ভ্যত্থনা অনুষ্ঠানে থাকেননি বিদায়ী প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প।
অন্যদিকে ট্রাম্পের বিদায়কালীন সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে তার ভাইস প্রেসিডেন্ট মাইক পেন্স না থাকলেও নতুন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ও ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিসের শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন মাইক পেন্স।